বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিজেপিমুক্ত উত্তর প্রদেশ চাই

মমতার সাথে বৈঠকের পরদিনই কেন্দ্রকে আক্রমণ টিকায়েতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

‘আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যাইনি। একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। কারণ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে হলে ভিসার দরকার হয় না।’ গত বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরদিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে এভাবেই তোপ দেগেছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি জানিয়েছেন, ‘ইতঃপূর্বে আমি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে বুধবার। এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব।’ কৃষক সংগঠনগুলোর সূত্রেই জানা যাচ্ছে, এ ইস্যুতে প্রায় সব অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দাবি আদায়ে কৃষক নেতৃত্বের এহেন অবস্থান মোদি সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। কারণ আগামী বছরই উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব ও গুজরাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এবং ২০২২ সালের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ইতোমধ্যেই বিক্ষোভরত কৃষকরা ‘বিজেপি মুক্ত উত্তরপ্রদেশ’ গড়ার ডাক দিয়েছেন। যদিও এদিন রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘কৃষক ইস্যুতে সমস্ত রাজ্যের নীতি সম্পর্কেই আমরা জানতে চাই। প্রয়োজনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করতে পারি আমরা। উত্তরাখণ্ড তো বিজেপি শাসিত রাজ্য। এরপর কেন্দ্রের কী বলার থাকতে পারে আমাদের বিরুদ্ধে?’
কলকাতায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার টিকায়েত আর্জি জানিয়েছেন, ‘বিরোধী দলগুলো যদি আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে, তাহলে দ্রুত কৃষক সমস্যা মিটে যাওয়া সম্ভব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব রকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।’ কেন্দ্রকে আরো কোণঠাসা করে এদিনই কৃষক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বিগত সাত মাস দিল্লির সীমানায় চলা বিক্ষোভে যোগ দিতে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো থেকে আরো কয়েক হাজার আন্দোলনকারী রওনা দিয়েছেন।
যদিও আন্দোলনরত কৃষকদের বৃহস্পতিবারও একহাত নিয়েছেন হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘কৃষক আন্দোলনের পিছনে গোপন উদ্দেশ্য আছে। কেন্দ্র বারবার কথা বলতে চেয়ে বার্তা দিচ্ছে। এমনকি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ১১-১২ বার বৈঠক করেছেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। এরপরেও আইনে তাদের আপত্তির জায়গা স্পষ্ট করছেন না কৃষকরা। এর থেকে কী প্রমাণ হয়?’ পাল্টা জবাবে রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘বিজেপি কখনও সোজাসুজি কথা বলার প্রশিক্ষণ পায়নি সঙ্ঘ পরিবারের কাছ থেকে। তারা অন্যের কথা শুনতেও রাজি নয়। সরকারকে বলতে হবে, তারা কখন আলোচনায় বসবে। মাত্র সাত মাস হয়েছে কৃষক আন্দোলনের। দেশের স্বাধীনতার জন্য তো ৯০ বছর লড়াই করতে হয়েছিল।’ সূত্র : বর্তমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Majhar Mustafi ১২ জুন, ২০২১, ৫:০৬ এএম says : 0
গরুকে মা ডেকে কৃষকদের পেটে লাথি দিলে কি মুদির আর্তি উড়াবে? অথচ মাংস রপ্তানিতে ঠিকই শীর্ষে আরব বাবাদের পেট্রোডলার আর দিনারের লোভে
Total Reply(0)
Nazmul Ok ১২ জুন, ২০২১, ৫:০৭ এএম says : 0
কৃসক হলো সবচেয়ে সাধারন মাষুস তারাই মোদির বিরুদ্ধে খেপে গেছে বোঝার মোতো কথা।
Total Reply(0)
Uzzal Kanti Datta ১২ জুন, ২০২১, ৫:০৯ এএম says : 0
মোদি সরকার কিভাবে গরু গুলোকে যত্ন করা যায় গরুর পূজা করা যায় সেটা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক নিয়ে কখনো চিন্তা করেন না তিনি চিন্তা করেন গরুকে নিয়ে জনগণের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাইলে সরকারের উপর প্রভাব রাখার একটা জায়গা রাখা উচিৎ জনগণের , কিন্তু ভারত সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসাবে জনগণের যে রায় তারা পেয়েছে তার প্রতিফল জনগণকেই ভোগ করতে হবে ।
Total Reply(0)
Joy Ahmed ১২ জুন, ২০২১, ৫:১১ এএম says : 0
ভারতে প্রত্যেক সচেতন নাগরিকদের উচিত এই চা আওলাকে বিদায় জানানো। ভারতে গরুর দাম আছে বাট মানুষের কোন দাম নেই।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ১২ জুন, ২০২১, ৫:১২ এএম says : 0
বিজেপিমুক্ত ভারত গড়তে পারলে এটা ভারতীয়দের জন্যই কল্যাণের হবে।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ১২ জুন, ২০২১, ৫:১৩ এএম says : 0
বিজেপি উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক দলটা দেশ ও মানুষের শুত্র, ভারতের কৃষকরা এটা ঠিকই বুঝেছে।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ১২ জুন, ২০২১, ৯:০৪ এএম says : 0
শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, পুরো ভারতই বিজেপিমুক্ত করতে হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন