চীনের বেইজিং এয়ারপোর্ট থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে চীনের উপহার আরও ৬ লাখ ভ্যাকসিন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
আগামীকাল রোববার চীনের দ্বিতীয় দফা উপহারের ভ্যাকসিন বুঝে পাবে বাংলাদেশ। চীনের প্রথম দফা উপহারের মতোই এটাও সিনোফার্ম ওর ভ্যাকসিন।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রথমে সিনোফার্ম-এর ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছিল। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পর বাংলাদেশও দ্বিতীয় চীনা ভ্যাকসিন সিনোভ্যাক জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সিনোফার্ম ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত প্রায়। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই সিনোফার্ম কেনার চুক্তির আলোচনা শুরু হবে।
এর আগে চীনের দেয়া উপহারের প্রথম দফার ৫ লাখ ডোজ করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা ১২ মে ঢাকায় আসে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, চীনের উপহারের ছয় লাখ ডোজ টিকা আনতে দুটি সি-১৩০ প্লেন পাঠানো হচ্ছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট দিচ্ছে। টিকা নেয়ার পর প্লেনে যত জায়গা থাকবে, সেটি পুরোটা ভরে নিয়ে আসবে।
গত ২১ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর ফোনালাপ হয়। এই ফোনালাপের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দফায় ছয় লাখ টিকা উপহার দেয়ার কথা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন