পিরোজপুরের নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার (১৪ জুন) বিকাল ৫ টায় নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা নামক বাজারে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী মোশারেফ হোসেন খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস এদের উভয় গ্রুপের সমর্থকদের একই স্থানে মিছিলকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতারা দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে মাঠে নামায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হামলা-সংঘর্ষ এবং সহিংসতা এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ভোটের দিন কোন প্রার্থী কেন্দ্র দখলে রাখতে পারবে এবং প্রতিহত করতে পারবে এই ধরনের মানুষিকটা নিয়ে দুই গ্রুপের প্রকাশ্য মহড়ায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।

ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে কেন্দ্র দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক পেলেও তৃনমূল নেতাকর্মীদের অপছন্দ হওয়ায় নাজিরপুর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নেই প্রভাবশালী নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন।

নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ততই শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। ফলে নৌকা পেলেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার মনোভাবে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। আর এ কারণেই দিনদিন বাড়ছে দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ও সহিংসতা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি ইউপি মেম্বর প্রার্থীদের সমর্থকরাও প্রতিদিনই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।

নাজিরপুর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ১ নং মাটিভাঙ্গা, ২ নং মালিখালী, ৬ নং নাজিরপুর, ৭ নং সেখমাটিয়ায়,প্রথম ধাপে ২১ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ৪টি ইউনিয়নের ৩ টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানরা নৌকা প্রতীক পেলেও এবং একটি ইউনিয়নে নতুন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে নির্বাচন করায় আনারস মার্কার (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা ও দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষেই প্রচারণা নিয়ে একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে স্বতন্ত্র দলীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনী ঐ চার ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা জানান, ভোটের আগে বহিরাগতদেরই বেশি আনাগোনা দেখা যায়। আমাদের দাবী এই বহিরাগতরা যেন কোন রকমে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে।