বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুদক না সিআইডি?

মামলা নিয়ে টানাহেঁচড়া : বছরে এক লাখ কোটি টাকা পাচার সমান্তরাল তদন্তের সুফল পাচ্ছে অপরাধী

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

এখতিয়ার না থাকলেও বেসরকারি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান এবং তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্যদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)ও বেসরকারি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে। একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিন্ন অভিযোগ এনে পৃথক অনুসন্ধান-তদন্ত চালাচ্ছে দুই প্রতিষ্ঠানই।

অর্থ পাচার রোধে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রোধ করা যাচ্ছে না অর্থ পাচার। উপরন্তু একই বিষয় নিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠানের টানাহেঁচড়া প্রকারান্তে পাচারকারীদের সুবিধাই নিশ্চিত করছে কি নাÑ এ প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি’র (জিএফআই)ও প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ১ লাখ কোটি টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে চারটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা সম্ভব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেনের মতে, সরকারি কর্মচারীরা বেশি অর্থ পাচার করেন। অথচ তাদের নিয়ে মাথা ব্যথা নেই প্রতিষ্ঠানটির।

দুদক এবং সিআইডি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে আইনে সংশোধনী আসার পর দুদক থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে শতাধিক মামলা (১৩৮টি) তদন্তের জন্য পায় সিআইডি। কিন্তু চার্জশিট অনুমোদনের বিষয়টি স্পষ্ট না থাকায় ২ বছর কোনো কাজ করতে পারেনি। সেটির অস্পষ্টতা কেটে যাওয়ায় অর্থ পাচার মামলার পুরোদমে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এর মধ্যে ক্যাসিনো-কাণ্ডে গ্রেফতার তৎকালিন যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুইয়া বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অন্তত ৪টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় আইয়ুবুর রহমান, আবু ইউনূস ওরফে আবু হায়দার, দ্বীন মজুমদার এবং অজ্ঞাত আর কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি মামলায় সিআইডি চার্জশিটও দাখিল করেছে।

একই ক্ষমতাবলে যুবলীগের তৎকালিন নেতা এনামুল হক এনু ও রূপন ভুইয়ার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করে সিআইডি। এসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ এনে অন্তত ৪টি মামলার চার্জশিটও দেয়া হয়েছে।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, ম্যানেজার গোলাম মোস্তফাসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে মামলা করেছে সিআইডি।

অন্যদিকে আইন সংশোধনের পর দুদক ১৮টি মামলা করেছে। এর মধ্যে ক্যাসিনোখ্যাত খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৪২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এনামুল হক এনু এবং রূপন ভুইয়ার বিরুদ্ধেও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। একইভাবে পাপুলকাণ্ডে তার মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, জেসমিন প্রধান, কাজী বদরুল আলম লিটন, সাদিকুর রহমান মনিরসহ ৫/৬ জনের বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।
লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, খালেদ মাহমুদ ভুইয়া, এনু-রূপন, ওয়াফা, জেসমিন প্রধান, মনির, গোলাম মোস্তফা, আইয়ুবুর রহমান, আবু ইউনূস ওরফে আবু হায়দার, দ্বীন মজুমদারসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের প্রত্যেককেই ব্যক্তিপর্যায়ে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত। তারা সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো পদে নেই। সরকারি অর্থও তারা আত্মসাৎ করেননি। অথচ দুদক তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান ও মামলা করছে, চার্জশিট দিচ্ছে।

অর্থ পাচার প্রশ্নে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সংস্থাটির তৎকালিন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বেসরকারি ব্যক্তিরা যে পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে পাচার করেছেন, তাদের ধরার ক্ষেত্রে দুদকের হাত-পা অনেকটা বাঁধা। এরপরও আমরা যে বসে আছি তা নয়। অবৈধ অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান তদন্ত কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিক গতিতে। অন্য সংস্থাগুলো সঠিকভাবে মানি লন্ডারিং বা অর্থ পাচারের তদন্ত করছে কি না তার ওপরও দুদকের নজর আছে।’
তার এ বক্তব্যের পরপরই প্রশ্ন দেখা দেয়, তাহলে দুদক কি করে ব্যক্তি পর্যায়ের ‘মানিলন্ডারিং’এর অনুসন্ধান-তদন্ত করছে?

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সরকারি-বেসরকারি বলে কোনো কথা নেই। যে কোনো লন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান-তদন্তই দুদক করতে পারবে। অফিস আদেশ জারির আগেই হাইকোর্টের দু’টি রায় আছে এর সপক্ষে। অবৈধ সম্পদ অর্জন মাত্রই লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা যাবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, অর্থ পাচার, স্থানান্তরর, রূপান্তরকে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ গণ্য করে ২০১২ সালে প্রথম ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন’ প্রণীত হয়। ২০০৯ এবং ২০১২ সালে আরো দুটি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন প্রণীত হয়। তিনটি আইনই পরবর্তীতে একটি অন্যটির পরিপূরক হিসেবে দুদকের ‘তফসিলভুক্ত’ হয়। ওইসব আইন অনুযায়ী মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৭টি ধারায় সংঘটিত অপরাধ দুদক কর্তৃক অনুসন্ধান ও তদন্তযোগ্য।

তবে ‘সম্পৃক্ত অপরাধ’ (প্রেডিকেট অফেন্স) হিসেবে পুলিশও এ আইনের আওতায় কিছু মামলা দায়ের ও তদন্ত করতে পারতো। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২’র ২৩ ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশ কিছু দায়িত্ব ও ক্ষমতা দেয়া ছিল। ২৩(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ‘সন্দেহভাজন’ এবং ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি’র আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
এ আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ইউনিট’ (বিএফআইইউ) কাজ করছে। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন পাস হয়। ওই আইনে সব ধরনের অর্থ পাচার মামলা তদন্তের একক ক্ষমতা ছিল দুদকের। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনটি সংশোধন হয়। সে অনুযায়ী শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতিলব্ধ অর্থ পাচারের তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন।

ব্যক্তিপর্যায়ে সংঘটিত অপরাধ যেমন: মুদ্রা জালকরণ, দলিল-দস্তাবেজ জালকরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, অপরহণ, অবৈধভাবে আটকে রাখা পণবন্দী করা, খুন, মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, নারী ও শিশু পাচার, চুরি বা ডাকাতি বা দস্যুতা বা জলদস্যুতা বা বিমান দস্যুতা, মানব পাচার, যৌতুক, মেধাসস্বত্ব লঙ্ঘন, ভেজাল ও স্বত্ব লঙ্ঘন করে পণ্য উৎপাদন, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান, যৌন নিপীড়ন, (সেক্সুয়াল এক্সপ্লরটেশন), সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ এবং ভীতি প্রদর্শননের মাধ্যমে অর্থ আদায়লব্ধ অর্থ পাচারের মামলা তদন্ত করবে সিআইডি। চোরাচালানি ও শূল্ক সংক্রান্ত অপরাধ তদন্ত যৌথভাবে করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সিআইডি।
দেশি ও বিদেশি মুদ্রা পাচার, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা, কর সংক্রান্ত অপরাধ তদন্ত করবে এনবিআর। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত অপরাধ (ইনসাইডার ট্রেডিং এন্ড মার্কেট ম্যানিপুলেশন) লব্ধ অর্থ পাচারের তদন্ত করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। পরিবেশগত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে লব্ধ অর্থ পাচার তদন্ত করবে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতর।

লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, সংশোধিত অর্থ পাচার আইনের ২৭টি তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে একটির এখতিয়ার (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, জালিয়াতি, দুনীতিলবদ্ধ অর্থ পাচার) দেয়া হয়েছে দুদককে। ২৬টির এখতিয়ার দেয়া হয়েছে সিআইডিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে।
অথচ দুদক ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন’র অভিযোগ আনার পাশাপাশি অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের অর্থ পাচার অভিযোগেরও অনুসন্ধান-তদন্ত চালাচ্ছে। এ জন্য একটি অফিস আদেশও (২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর) জারি করে নিয়েছে সংস্থাটি। তাতে বেসরকারি ব্যক্তিদের অর্থ পাচারের অনুসন্ধান-তদন্ত নিজেদের ‘এখতিয়ারভুক্ত’ বলে দাবি করে সংস্থাটি।

তাতে বলা হয়, ‘মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ যথাক্রমে ২০১৫ সালের ২৫ নম্বর আইন ও ২০১৬ সনের ২৫ নম্বর আইন দ্বারা সংশোধনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘুষ ও দুর্নীতি হতে উদ্ভূত মানিলন্ডারিং এর অপরাধ তদন্ত করার এখতিয়ার রাখে।
উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত একটি অপরাধ। যে কোনো মানিলন্ডারিং অপরাধের সর্বশেষ অপকর্ম হলো অবৈধ সম্পদ অর্জন। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের তফসিল বহির্ভূত অন্য কোনো অপরাধ হতে উদ্ভূত মানিলন্ডারিং অপরাধও জ্ঞাত আয় উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন হতে উদ্ভূত মানিলন্ডারিং হিসেবে গণ্য হয়।’

সে কারণে, (ক) দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত বহির্ভূত অন্যান্য অপরাধ হতে উদ্ভূত মানিলন্ডারিং অপরাধের ক্ষেত্রে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদের মামলার মতো দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ ধারার সাথে মানিলন্ডারিং ধারা যুক্ত করে অভিযুক্ত করা যাবে।’ (খ) ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধের ক্ষেত্রে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ধারাসমুহের সাথে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা যুক্ত করে অভিযুক্ত করা যাবে। এবং (গ) দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ ধারার সাথে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা সংযুক্ত করে অভিযুক্ত করা যাবে।’

দুদকের সাবেক আইনজীবী ব্যারিস্টার আকবর আমীন বাবুল বলেন, বেসরকারি ব্যক্তিদের অর্থ পাচার অভিযোগের অনুসন্ধান-তদন্তের পক্ষে স্ব-আরোপিত অফিস আদেশ ছাড়া অন্য কোনো ভিত্তি নেই। দুদকের এই আদেশ এখন পর্যন্ত চ্যালেঞ্জও হয়নি। হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি হয়েছিল দুদকের আদেশ জারির আগে। পরবর্তীতে আদেশটি আদালত দ্বারা জাস্টিফায়েড হয়নি। এই আদেশের ভিত্তিতেই যদি সিআইডি’র পাশাপাশি দুদকও সমান্তরাল অনুসন্ধান-তদন্ত চালায় তাহলে মামলা বিচারে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এতে চূড়ান্ত ফলাফল অর্থ পাচারকারীদের পক্ষেও যেতে পারে।
এদিকে একই ব্যক্তির একটি অভিযোগ নিয়ে সিআইডি এবং দুদক’র তদন্ত পরিচালনা প্রসঙ্গে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মঈদুল ইসলাম বলেন, একই ঘটনায় একাধিক সংস্থা আলাদাভাবে কাজ করা ভুল। একটা ঘটনায় একাধিক মামলা চলে না। এতে বেশি সাজাও হবে না। বিএফআইইউ’র মাধ্যমে সমন্বয় করে যে কোনো একটি সংস্থার কাজ করা উচিত। তার মতে, এ ক্ষেত্রে একাধিক সম্পৃক্ত অপরাধ থাকলে একাধিক সংস্থা নিয়ে যৌথ তদন্ত দল করতে পারে বি.এফ.আই.ইউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Nasim HQ ১৫ জুন, ২০২১, ৩:৫২ এএম says : 0
বাংলাদেশের অনেক রাজনীতি বিদ আর আমলা এর ফ্যামিলি বাহিরে থাকে , বাহিরে অনেক সম্পদ এই দেশ থেকে নিয়ে গেছে আর যাচ্ছে। সবাই জানে আর বুঝে কিন্তু যারা প্রতিরোধ করবে তারাই তো দুর্নীতি গ্রস্ত।
Total Reply(0)
Faruk Ahmed Chowdhury ১৫ জুন, ২০২১, ৪:১৯ এএম says : 0
এই জন্যই জনগন মনে করে ন্যশনাল আই ডি কার্ডে স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ থাকা একান্ত প্রয়োজন । জাতীয় পরিচয়পত্রে যে অস্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা আছে সেই ঠিকানায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না ।আর পাওয়া যাবার সম্ভাবনা ও নেই । এতে অপরাধী সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং নিরপরাধ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে ।
Total Reply(0)
Nabi Newaz ১৫ জুন, ২০২১, ৪:১৯ এএম says : 0
যারা উন্নত দেশে টাকা পাচার করে তারা ভূল ত্রুমে অনুন্নত বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণ করেছে, তাই সেই ভূল সংশোধন করছেন টাকা পাচার করে
Total Reply(0)
তানভীর তারিক ১৫ জুন, ২০২১, ৪:২০ এএম says : 0
যারা মামলা করার দায়িত্বে আছে তারাই তো অর্থ পাচারে জড়িত।
Total Reply(0)
Kaushik Sarkar ১৫ জুন, ২০২১, ৪:২১ এএম says : 0
যে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাবার পরও ভারত, এমনকি সিঙ্গাপুরকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবী করা হয়, তাহলে কি ঐসব টাকা যদি বাংলাদেশে থেকে যেত তবে বোধকরি বাংলাদেশ আজ আমেরিকাকেও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ছাড়িয়ে যেতে পারতো !
Total Reply(0)
Kamal Mia ১৫ জুন, ২০২১, ৪:২২ এএম says : 0
বেশীরভাগ দুর্নীতিগ্রস্হ সরকারি কর্তাদের এখন টাইটেল শুধু সরকারি কর্মকর্তা, বাস্তবে তো তারা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের চেয়ে বেশি রাজনৈতিক আচরণকারি। তাদের কারনে সৎ, নীতিবান ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন টোটাল নিষ্ক্রিয়।
Total Reply(0)
Arif Hossain ১৫ জুন, ২০২১, ৪:২৮ এএম says : 0
দূঃসাহস নিয়ে দুদকের উচিত যারা বিদেশে এভাবে অস্থাবর- স্থাবর সম্পত্তি গড়ে তুলছে সব বাজেয়াপত করা,,তখন বেরিয়ে আসবে কত% সরকারি কর্মকর্তা আর কত% রাজনীতিবিদ?
Total Reply(0)
Asad Asif ১৫ জুন, ২০২১, ৪:২৮ এএম says : 0
দেশের প্রত্যেকটা সচেতন জনগণ আশেপাশের দুর্ণীতি বাজ আমলাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের মত আরেক বার ঝাপ দিত তাহলে দেশটা আসলেই এইবারের মত রক্ষা পেত
Total Reply(0)
Khan Sohel ১৫ জুন, ২০২১, ৪:২৯ এএম says : 0
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের & সরকারি চাকরিতে নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যায়ের অনেক এ দূর্নীতি এতই লাগাম হীন। দেশে বিদেশে অঢেল সম্পদ করে রেখেছে, এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন