খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় গত ১ জুন কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করছিলেন কয়েক’শ মানুষ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি ট্রলার নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান। বাঁধের কাজ করা উত্তেজিত জনতা সাংসদকে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কাঁদা ছুড়ে মারতে থাকেন ট্রলারের দিকে। বাধ্য হয়ে সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে পিছু হটেন সাংসদ। কিছুক্ষণ পর উত্তেজনা প্রশমিত হলে অবশ্য তিনি বাঁধ মেরামত স্থানে পুনরায় উপস্থিত হন। পুরো বিষয়টি কিছুক্ষণের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে চলতে থাকে মন্তব্য-পাল্টামন্তব্য।
ওই দিনের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ময়দান অনেকটা সরগরম হয়ে ওঠে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রোববার রাতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কমিটি গঠন করা হয়।
ওই পত্রে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ( খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) দ্বয়ের মৌখিক নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা-৬ আসনের সাংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বেড়ি বাঁধ মেরামতের কাজ তদারকির জন্য যাওয়ার পর সেখানে সৃষ্ট ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ উদ্বিগ্ন ও বিব্রত বােধ করেছেন। সে কারণে ওই অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে কারা সরাসরি জড়িত এবং অন্তরালে কারা, কেন এবং কি কারণে তা অনুসন্ধান পূর্বক ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক
সম্পাদকের (খুলনা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত) নিকট জমা দেওয়ার জন্য অনুরােধ করা হল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন