বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টাকা পাচার রোধে কঠোর হবেন অর্থমন্ত্রী

শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিলে লাভ পাওয়া যাবে ৭০৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

দেশ থেকে অর্থ পাচার নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে যখন ব্যাপক সমালোচার ঝড় উঠেছে, তখন পাচাররোধে কঠোর অবস্থানের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, দেশে একটি গ্রুপ আছে যারা লোভে পড়ে দেশ থেকে টাকা পাচার করছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এ জন্য বিদ্যমান আইনের কিছু ক্ষেত্রে সংশোধন করা হচ্ছে। কিছু নতুন আইনও করা হচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে পাচারকারীদের ধরা সহজ হবে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া যাবে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে বাড়তি লাভ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিরি বৈঠক শেষে সভাপতি হিসেবে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে শেষে সাংবাদিকরা অর্থপাচার বিষয়ে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কিছু নতুন আইন করা হবে। আর কিছু সংশোধন করা হবে। অর্থপাচার নিয়ে আপনাদের (সাংবাদিক) যেমন মনে কষ্ট আছে। আমারও লাগে। এ জন্য আমাদের পদ্বতির (সিস্টেম) উন্নতি করতে হবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। দেশে থেকে টাকা পাচারের ঘটনা নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রবণতা অনেক বেড়েছ। এটা নিয়ে সরকার যেমন উদ্ধিগ্ন, তেমনি বিব্রতও।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সিস্টেমের ডেভলপ করতে পারি, তাহলে কারা টাকা পাচার করছে তাদের শনাক্ত করতে পারব। এ জন্য যেখানে দরকার সেখানে আইন সংশোধন করা হবে। আবার কিছু নতুন আইন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগে আমাদের বৈদেশিক লেনদেন হতো ম্যানুয়াল পদ্বতিতে। এখন ডিজিটালে হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আইন আরও কঠোর করতে হবে। অর্থমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ থাকলে, রিটার্ন ভালো হলে দেশ থেকে টাকা পাচার কমবে। এ জন্য সিস্টেমের উন্নতি করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কিছু লোভী লোক আছে। এই গ্রুপটি টাকা পাচার করছে। এদের শনাক্ত করতে হলে আইন-কানুনের সংশোধন দরকার। আমরা সেই উদ্যোগ নিয়ে এগোচ্ছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে ব্যবসায়ীদের কিস্তি পরিশোধে নানাভাবে ছাড় দেয়ার পরও ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমেনি। বরং বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে (জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত) দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ, টাকার অঙ্কে যার পরমিাণ ৬ হাজার ৩ ৫১ কোটি টাকা। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, খেলাপি ঋণ বাড়েনি। বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে এই হিসাব করেছে তাদের থেকে তথ্য নিয়ে আমি দেখব। তার পর এর জবাব দেব।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ২০ কোটি ডলার ধার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যদি কাউকে ঋণ দেই, সারাদেশের মানুষ সেটা জানতে পারবে। আমরা যেমন নিতে পারি তেমন দিতেও পারি। আমি বলেছিলাম, আমরা যেহেতু ঋণ নিয়েছি, আমরা ঋণ দেব। আমাদের সক্ষমতা যা আছে, তার মধ্যে থেকে আমরা যদি ঋণ দিতে পারি তবে দেবে। এই টাকা দিয়ে যদি বাড়তি কোনো লাভ পাই এবং প্রতিবেশী দেশকে সহযোগিতা করতে পারি, সেটা ভালো।
তিনি বলেন, ঋণ দেয়ার মূল কারণ হলো, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিল্ডআপ করা এবং যে টাকা ঋণ দিচ্ছি তার চেয়ে ভালো রিটার্ন আমরা পাবো। আমরা যদি কম্পিটিটিভ ভালো রিটার্ন পাই তাহলে কেন ঋণ দেবো না?
এদিকে ৭০৫৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৫ টাকা ব্যয়ে ১০ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৭তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২১তম সভা হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ১টি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ১০ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

তিনি বলেন, ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ১টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির কমিটির অনুমোদিত ৭টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬,৮০৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৬,৭১৬ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার ২৩৮ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক হতে ঋণ ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৭ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, সভায় ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য ৫ হাজার ইন্সট্রাক্টর টেবিল, ৫ হাজার ইন্সট্রাক্টর চেয়ার, ৮০ হাজার কম্পিউটার টেবিল, এবং ১ লক্ষ ৬০ হাজার কম্পিউটার চেয়ার সংগ্রহ, সরবরাহ ও স্থাপনের জন্য ৭টি প্যাকেজে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৮টি প্রতিষ্ঠান রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান (১) হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড (১টি লট), (২) আরএফএল প্লাস্টিকস্ লিমিটেড (২টি লট), (৩) আকতার ফার্নিচার লিমিটেড (৩টি লট) এবং (৪) পারটেক্স ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (১টি লট) সরবরাহ করবে। এজন্য মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ২৮ লক্ষ ৪ হাজার ৩৬ টাকা।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ (২০১৮ সনের সর্বশেষ সংশোধনীসহ)-এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্য হতে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১৬তম এলএনজি কার্গো আমদানির মাধ্যমে এলএনজি ক্রয়ের প্রত্যাশা অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি ইউনিটের দাম ১০ দশমিক ৯৯০০ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৩১৩ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮০ টাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি এই এলএনজি সরবরাহ করবে।

সভায় জুলাই থেকে ডিসেম্বর, ২০২১ সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে গ্যাস অয়েল (ডিজেল), জেটএ অয়েল (এভিয়েশন ফুয়েল), ফার্নেস অয়েল, মোগ্যাস (অকটেন) ও মেরিন ফুয়েল আমদানির জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ১২ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এতে মোট কোটি ৯৭ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার ৬৭ সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৭ শত ৭৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ‘প্রকিউরমেন্ট অব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, সাপ্লাই, ইন্সটলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব টেলিকম মনিটরিং সিস্টেম (টিএমএস) ফর দ্য টেলিকম নেটওয়ার্কস অ্যান্ড সিস্টেমস অব বাংলাদেশ’ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রে ৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা কানাডা ভিত্তিক টিকেসি টেলিকম ইনকরপোরেশন টিএমএস সরবরাহ করবে। এ জন্য ব্যয় হবে ৭৭ কোটি ৬৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৬ টাকা।

সভায় ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের’ নির্মাণ কাজের একটি প্যাকেজের চুক্তিপত্রের সাপ্লিমেন্টারি অ্যাগ্রিমেন্ট-১ এর ওপর সাপ্লিমেন্টারি অ্যাগ্রিমেন্ট-২ এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভায় বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩টি প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভেসেল নির্মাণ ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ১টি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত একমাত্র রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলি শিপ বিল্ডার্স লি:, চট্রগ্রাম এর কাছ থেকে ২৩১ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭২৬ টাকায় ৩টি প্যাসেঞ্জার ক্রুজ ভেসেল সরবরাহ ও নির্মাণকাজ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কাফকোর সঙ্গে চুক্তির ধারা ৪.১ (এ) অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। প্রতি মেট্রিক টন ৩৪৩ দশমিক ৮৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে এতে সর্বমোট ১ কোটি ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৭ টাকা ব্যয় হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) কালেকশন অব মোটর ভেইকেল ট্যাক্সেস অ্যান্ড ফিস থ্রো অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম ফর ফাইভ ইয়ার্স সংক্রান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্রে রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস) এর নিকট থেকে এই সেবা নেবে বিআরটি। পাঁচ বছর মেয়াদে এজন্য মোট ব্যয় হবে ২১৮ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার টাকা

সভায় ‘কুড়িগ্রাম (দাসেরহাট)-নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থল বন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০৪ এর পূর্ত কাজ ক্রয়ের প্রস্তাব সিসিজিপি সভায় পুনঃমূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়। সে অনুসারে টিইসি কর্তৃক পুনঃমূল্যায়ন করে যৌথভাবে (১) ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এবং (২) হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড-এর কাছ থেকে ১৪৮ কোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৭ টাকায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু,দরপত্রের শর্ত পূরণ না করায় টিইসির সুপারিশ বাতিল করে নতুনভাবে ক্রয় কার্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও ‘বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাব বাতিলের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্পটির সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষন ছিল ১০০ কোটি ৪৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৮০ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, সভায় টেবিলে ২টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় এর মধ্যে একটি ভাঙা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের চুক্তিমূল্য থেকে ৪৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭ হাজার ৬৯০ টাকা কমেছে। অন্যদিকে অপর প্রস্তাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেলওয়ে সিগনালিংসহ বিভিন্ন পূর্তকাজের অতিরিক্ত ব্যয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৯৫ কোটি ৮৪ লাখ ১ হাজার ৩৭০ টাকা।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (জেএফসিএল) এর জন্য রিফর্মড গ্যাস ওয়েস্ট হিট বয়লার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন অনুমোদন দেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন