বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিয়ানমারে গেরিলা যোদ্ধা-সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ, ২০০ বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ১০:৩৪ এএম

মিয়ানমারে স্থানীয় গেরিলা সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স পিডিএফের সঙ্গে দিনভর দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। এক পর্যায়ে দেশটির সেনাবাহিনী কিন মা নামে পুরো গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ২৪০টি বাড়ির মধ্যে ২০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। মঙ্গলবার (১৫ জুন) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় কিন মা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’কে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মঙ্গলবার কিন মা গ্রামে আক্রমণ করে সেনাবাহিনী এবং গ্রামের ২৪০টি বাড়ির মধ্যে ২০০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় তারা। সরকার বিরোধী স্থানীয় এক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী গ্রামটিতে হামলা চালায় বলেও জানান তারা।
এদিকে সেনাবাহিনীর এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ড্যান শুগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘সেনা সদস্যরা মাগওয়ের একটি পুরো গ্রাম পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে সেখানকার বৃদ্ধ বাসিন্দারাও নিহত হয়েছেন। সামরিক বাহিনী যে ভয়ঙ্কর অপরাধ করে চলেছে, এই ঘটনার মাধ্যমে তা আবারও প্রদর্শিত হলো এবং এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে- মিয়ানমারের মানুষের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।’
কিন মা গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসি’কে জানান, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামক একটি সশস্ত্র গেরিলা সংগঠনের যোদ্ধাদের সঙ্গে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এরপরই গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেনা সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ ধরনের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম হয়েছে। ঘরোয়াভাবে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই তারা জান্তা সরকারের পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, গ্রামে ঢুকে সেনাবাহিনী গুলি চালানো ও বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ তাণ্ডব শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে তিনি ও আশপাশের লোকজন পাশের জঙ্গলে পালিয়ে যান। কিন্তু দু’জন বৃদ্ধ লোক পালাতে পারেননি। তারা ঘরের ভেতরেই আগুনে পুড়ে মারা যান। সেনাবাহিনীর হামলার পর থেকে আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আগুনে গ্রামের প্রায় সব বাড়িই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের ভয়াবহতা এতই বেশি ছিলো যে নাসার ফায়ার ট্র্যাকিং সিস্টেমে তা রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম রয়টার্স। মিয়ানমার সেনাদের অতর্কিত গুলিতে আগেই গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন অনেকেই। আগুন দেয়ার পর পুরো গ্রাম জনমানব শূন্য হয়ে যায়। যারা ফিরে এসেছেন পোড়া মাটি ও ছাই ছড়া কিছুই খুঁজে পাননি। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। সূত্র: বিবিসি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Dadhack ১৭ জুন, ২০২১, ১২:৩১ পিএম says : 0
আল্লাহ তুমি মায়ানমার বর্বর সেনাবাহিনী দের কে ধ্বংস করে দাও, আমিন
Total Reply(0)
ABU ABDULLAH ১৭ জুন, ২০২১, ২:১৪ পিএম says : 0
রুহিঙ্গাদের উপর যখন জুলুম হচ্ছিল তখন এরা কিন্ত চুপ ছিল
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন