ঝালকাঠি পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী তালুকদার। তিনি বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। একের পর এক উঠান বৈঠকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সমর্থন আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ২১ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই মাঠে রয়েছেন তিনি। ১৯ জুন পর্যন্ত পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করবেন তিনি। ইতোমধ্যে ৮টি উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের আফজাল হোসেন রানা মাঠে প্রচারণায় না থাকায় লিয়াকত তালুকদার একাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পৌরসভার এ প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে। ভোটাররাও খুশি তাঁর কর্মকান্ডে। পৌরসভাকে একটি আধুনিক ও মডেল করে গড়ে তোলার জন্য তাঁর নিরলস পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভোটাররা। উন্নয়নের রূপকার ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর নির্দেশে তিনি এলাকার তৃণমূল পর্যায়ে সকল উন্নয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন নৌকার এ মাঝি। তাঁর সঙ্গে প্রতিটি উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন জেলা আওয়মী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হোসেনসহ স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, গত ১৩ জুন শহরের পানবাজার ও কিফাইতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৪ জুন নেছারাবাদ যুব উন্নয়ন ও হালিমা মোয়াজ্জেম কলেজ, ১৫ জুন মশ্চিম ঝালকাঠি আবাসন ও বাসস্ট্যান্ড, ১৬ জুন বান্দাঘাটা ও পালবাড়ি মনসা বাড়ি এলাকায় ইতোমধ্যেই উঠান বৈঠক করেন তিনি। ১৭ জুন বিকেলে পৌরসভা খেয়াঘাট ও সন্ধ্যায় উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, ১৮ জুন বিকেলে ইছানীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও সন্ধ্যায় বিকনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ১৯ জুন কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় সন্ধ্যায় সর্বশেষ উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন তিনি। ঝালকাঠি পৌরসভায় ২২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। পৌরসভায় ১৯ হাজার ৪৭৬জন পুরুষ ও ২০ হাজার ১৬০ জন মহিলা ভোটারসহ ৩৯ হাজার ৬৩৬ জন ভোটার রয়েছে।
পৌর এলাকার কিফাইত নগড় এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, লিয়াকত আলী তালুকদার একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি পৌরসভার মেয়র থাকালে কোন মানুষকে অপদস্ত করেননি। সবার মনযোগিয়ে তিনি উন্নয়ন কাজ করেছেন। এ ধরণের একজন ভালো মানুষকে আবারো নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা খুশি। তাঁর জন্য দোয়া রইলো।
শহরের বান্দাঘাটা এলাকার নুসরাত জাহান বলেন, লিয়াকত আলী তালুকদার একজন ভদ্র মানুষ, জনবান্দব নেতা। নৌকা প্রতীক তাঁর হাতেই নিরাপদ। নিশ্চই তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
ইছানীল এলাকার আবদুর রশীদ বলেন, একজন সিনিয়র মানুষ হিসেবে সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করছেন তিনি। স্থানীয় জনগণ তাঁর পক্ষেই কাজ শুরু করেছে।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, লিয়াকত আলী তালুকদারের পক্ষে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। তিনি নৌকার প্রার্থী, প্রচারণা এভাবে চলতে থাকলে তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর প্রার্থী হিসেবে লিয়াকত আলী তালুকদার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। আশাকরি বিপুল ভোটে তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক উন্নয়নের রূপকার আমির হোসেন আমু মহোদয়ের জন্যই আমি আবারো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছি। জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাদের মুখ উজ্জল করবো ইনশাআল্লাহ। আমি বিগত দিনে পৌরসভার সবগুলো সড়কের উন্নয়ন করেছি। তৃণমূল পর্যায়ে সকল সমস্যা নিরসন করেছি। বাকি যেটুকো রয়েছে, তাও নির্বাচনের পরে করা হবে। নতুন নতুন প্রকল্প করেছি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে ঝালকাঠি পৌরসভার চেহারা পাল্টে যাবে। আগামী ২১ জুন তিনি ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতি কামনা করে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন