ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ২১ জুন নির্বাচন। সকল ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। ঝড় বৃস্টি মাথায় নিয়ে অলিতে গলিতে চলছে প্রচার-প্রচারণা, চলছে উঠান বৈঠক। প্রার্থীরা গভীর রাত পর্যন্ত ভোটার দাড়স্হ হচ্ছে। মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলীয় নৌকা ও হাত পাখার প্রার্থীরা। হাত পাখার প্রার্থীরা ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন । জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ, যুবমহিলালীগ, সহ সহযোগী সংগঠন নেতা কর্মীরা ভোট চাচ্ছেন।
গততিনদিন বিভিন্ন স্হানীয় সুধীজনের সাথে নির্বাচনী হালচানতে চাইলে ও জনমত জরিপে জানা গেছে-- নৌকার প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে উঠান বৈঠক, লিফলেট, মাইকিং, মিছিল করতে যতটা দেখেছেন ততটা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চোখে পড়েনি।পক্ষান্তরে রাজনৈতিক প্রতিদন্দী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ৫ জন প্রতিদন্দী প্রার্থীরা হাতপাখা প্রতীক সম্মিলিত পোস্টার দিলে ও প্রার্থীদের ছবি দেননি,এটা কারন আছে, এজন্য দেয়ননি । হাতপাখার প্রার্থী ও দলের উপজেলার প্রধান মুখোপত্র মাওঃ ফজলে আলী বলেন- আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছি, উঠান বৈঠক সহ মাইকিং চালাচ্ছি,আল্লাহর হুকুম থাকলে বিজয় পাব,পোস্টারে ছবি ব্যাবহারের ব্যাপারে বলে একটা কারনে দেয়া হয়নি,আমার ছবি পত্রিকার জন্য দিচ্ছি।অন্যান্য হাতপাখার প্রার্থীর ছবি পাওয়া যায়নি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমাদের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে, দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সম্পর্কে বলেন- তারা মাঠে নেই, তাদের কোন মিটিং মিছিল,প্রচার গন সংযোগ দেখছি না।হয়ত দলীয় উর্ধতন তাদেরকে নিরুতসাহিত করতে ফোন করছেন,তবে তাদেরকে নৌকার সমর্থন দেয়ার আহবান ও আমি করেছি,তাতে সাড়াও পেয়েছি। ৬ নং মঠবাড়ি ইউনিয়নের বর্তমান আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান ও সতন্ত্রবিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ কামাল সিকদার বলেন- আমি নির্বাচনে আছি,দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়,আমার নেতাকর্মীরা খোলা মেলা প্রচার করতে পারছে না,শুক্তাগড় ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী বিউটি সিকদার বলেন - আমার ইউনিয়নে এ বছর ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে, আমার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যে ভাবে ভোটের জাগরন উঠেছে ২১ তারিখে অবাধ ও সুস্ঠু নির্বাচন হলে ৮০% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবেন।সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ ছোবাহান বলেন- নৌকার প্রার্থীসহ আমরা মাঠে কাজ করছি বিজয নিশ্চিত।
স্হানীয় ভোটার, ব্যবসায়ী,পথচারী,প্রবীন লোকেরা এলাকার প্রচার প্রচারনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন- শুধু নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ সাধারন মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা যতটা অনুভব হয় তা অন্য পদের প্রার্থীদের বেলা ততটা শুনিনা,তাদের ধারনা সব চেয়্যারম্যান নৌকা মার্কার প্রচার প্রচারনা বেশী ও বিজয়ী হবে।রাজাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবু ইউসুফ বলেন- ১জন চেয়ারম্যান, ১ জন সংরক্ষিত মহিলা, ০৩ জন সাধারণ সদস্যদের পদে প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিত।
উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ১নং সাতুরিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ মাইনুল হায়দার(নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী(বিদ্রোহী) সিদ্দিকুর রহমান(আনারস), ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন প্রার্থী নুরুল ইসলাম(হাতপাখা) ২নং শুক্তাগড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিউটি সিকদার(নৌকা), স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী)শাহিন মৃধা, হাতপাখার প্রার্থী আমির হোসেন, ৩নং রাজাপুর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম(নৌকা), হাতপাখার প্রার্থী আল আমিন রুমান। ৪নং গালুয়া ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া পারভেজ (নৌকা)বিনা প্রতিদন্দিতা নির্বাচিত হয়, সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে (৭,৮,৯) ওয়ার্ডের কানুদাসকাঠীর রুমা আক্তার বিনা প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিত হয় এবং সদস্য পদে ৪০ জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে ১২ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় ২নং ওয়ার্ডে মোঃ মোস্তফা জামাল, ৮নং ওয়ার্ডের মোঃ মনির হোসেন ও ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃ ইসমাইল হোসেন বিনা প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিত হয়, ৫নং বড়ইয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাবুদ্দিন হাওলাদার(নৌকা) স্বতন্ত্র জাহিদুল আবেদিন( মটর সাইকেল) হাতপাখার প্রার্থী কেএম জাহাঙ্গীর হোসেন। ৬ নং মঠবাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ জালাল হাওলাদার(নৌকা), স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী)মোস্তফা কামাল সিকদার(চশমা), স্বতন্ত্র(বিদ্রোহী) আব্দুর রব(আনারস), হাতপাখার প্রার্থী ফজলে আলীপ্রতিদন্দিতা করছেন। নির্বাচন কর্মকর্তা শুক্তাগড় ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হবেএবং সুস্ঠু শান্তি পূর্ন ভাবে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন