বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় কঠোর বিশেষ বিধি নিষেধ জারি

ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনার সংক্রমণ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ৭:১৭ পিএম

কুড়িগ্রামে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার পুরো পৌরসভাকে বিশেষ বিধি নিষেধের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক ভার্চুয়াল মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুক্রবার সকাল থেকে কঠোর এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছেন এ কমিটির সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো: হাবিবুর রহমান। ভার্চুয়াল মিটিং-এ জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম,সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান,বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জামাল হোসেন,জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, গত দেড় সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ হার দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনায় গত দুইদিনে দুইজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭জনে। কুড়িগ্রাম পৌরসভায় করোনা সংক্রমের হার সবচেয়ে বেশি। গত ১৫ জুন কুড়িগ্রাম পৌরসভার ২, ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় এক সপ্তাহের জন্য এই ৩টি ওয়ার্ডে বিশেষ বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। এরপরও করোনা বৃদ্ধির মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে পুরো কুড়িগ্রাম পৌরসভাকে বিশেষ বিধি নিষেধের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এই বিধি নিষেধের সময় দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সকল প্রকার যানবাহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পরিবহন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে কৈফিয়ত দিতে হবে। হোটেল রেস্তোরা খোলা থাকলেও শুধুমাত্র পার্সেল সরবরাহ করতে পারবে। বিশেষ বিধি নিষেধ কার্যকর করতে পুলিশ বিভাগ থেকে শহরে প্রবেশের ৩টি পয়েন্টে পুলিশি চেক পোস্ট স্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই চেক পোস্টগুলো হচ্ছে, রংপুর থেকে কুড়িগ্রামে প্রবেশ মুখ ত্রিমোহনী বাজার, নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী যাওয়ার প্রবেশ পথ ধরলা ব্রীজ ও চিলমারী-উলিপুর উপজেলা যাওয়ার প্রবেশ পথ টেক্সটাইল মুখ এলাকা। এছাড়া শহরে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম।

সিভিল সার্জন ডা: মো. হাবিবুর রহমান জানান, গত ১০জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ২১৫জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯০জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়ায় গেছে। নতুন করে মারা গেছে ২জন। এই ৯০জনের মধ্যে ৫৮জনই কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকার। ফলে পৌরসভা এখন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড থেকে বৃদ্ধি করে গোটা পৌরসভাকে বিশেষ বিধি নিষেধের আওতায় আনা হচ্ছে।

জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বলেন,৫০ বেডের করোনা ওয়ার্ডে ২২জন রোগী ভর্তি রয়েছে এবং রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়বে। এছাড়াও রয়েছে অক্সিজেনের ঘাটতি। তাছাড়া করোনা রোগীর চাপে চিকিৎসা বিভাগ হিমশিম খাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন