শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

১০ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলেও মানুষ না মরে, ক্ষতিগ্রস্থ না হয় ভবনে নিতে হবে সেই প্রস্তুতি- সিলেটে প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ৮:৫২ পিএম

ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, আমরা চাইলেই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারি ভূমিকম্পের। ভূমিকম্প হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার পূর্ভাবাস দেওয়ার উপায় এখনও বের হয়নি। ঠেকানোরও কোনো উপায় নেই ভূমিকম্প। তাই ভূমিকম্পের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ১০ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলেও যাতে কোনো মানুষ না মরে, কোনো ভবনে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এইরকম প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের। এটা যে সম্ভব তা জাপান দেখিয়ে দিয়েছে। জাপান এখন ভূমিকম্প সহনীয় একটি দেশ।


আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ক অবহিতকরণ সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর। ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসিনের সভাপতিত্বে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় সিলেটের জনপ্রতিনিধিগণ, প্রশাসনের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগণ, বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ সহ বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ।

গত ২৯ এবং ৩০ মে সিলেটে ৫ দফা এবং ৭ জুন আবারও ২ দফা ভূমিকম্প হয় সিলেটে। এতে আগে থেকেই ঝুঁকিতে থাকা সিলেট অঞ্চলের মানুষের মধ্যে দেখা দেয় ভূমিকম্প আতঙ্ক। দফায় দফায় এই ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে আজ এই সভার আয়োজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এতে সহযোগীতা করে সিলেট জেলা প্রশাসন ও জাইকা।

‘ভূমিকম্প ঝুঁকিহ্রাস বিষয়ক অবহিতকরণ সভা’য় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, সিলেটে ঘনঘন ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আয়োজন করা হয়েছে এই সভার। দেশের সবচেয়ে ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সিলেট। এখানে ৫টি সক্রিয় চ্যুতি (ফল্ট) রয়েছে। এ কারণে সিলেটকে ঘিরে গ্রহণ করতে হবে আলাদা পরিকল্পনা। এখানে নকশা অনুমোদন ছাড়া কোনো ভবন যাতে গড়ে না উঠে লক্ষ্য রাখতে হবে সেদিকে। আর যে ভবনগুলো ইতোমধ্যে নির্মিত হয়ে গেছে সেগুলো ভূমিকম্প সহনীয় কি না তা পরীক্ষা করাতে হবে। এজন্য মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ জনপ্রতিনিধিদের সচেষ্ট হতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকা আমাদের সহযোগিতা করবে। ইতোমধ্যে আমরা ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় বৃদ্ধি করেছি অনেক সক্ষমতা। ফায়ার সার্ভিস ও সশস্ত্রবাহিনীকে অনেক সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। ফলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে আমাদের সতর্ক হতে হবে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন, আবহাওয়া অফিসের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমদ, সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মিজান, গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, বুয়েটের অধ্যাপক তাহমিন এন হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম ও ড. শারমিন রেজা চৌধুরী, জাইকার প্রতিনিধি নাওকি মাথসুমুরা প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন