বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জামিন সংক্রান্ত আদেশ রোববার

কুষ্টিয়ায় দুই সহোদর হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২১, ১২:০৭ এএম

কুষ্টিয়ার বেড়ামারা স্কুল শিক্ষক দুই ভাই মুজিবুর রহমান এবং মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামির জামিন রিভিউ’র আদেশ আগামি রোববার। গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ তারিখ নির্ধারণ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। এ তথ্য জানান, আসামিপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ শিশির মনির। এ ছাড়া মামলায় আসামি পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

শিশির মনির জানান, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রির মামলার বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান নিহত হন। এ সময় তার ভাই মিজানুর রহমানও গুরুতর জখম হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমানেরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান। রায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল প্রামাণিক, সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী, সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও এই মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) মামলাটি হাইকোর্টে আসে। সেই আপিল করেন আসামিরা।

এর মধ্যে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা আপিলের সঙ্গে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এ চারজনকে জামিন দেন। জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে সরকারপক্ষ। চেম্বার কোর্ট জামিন আদেশ স্থগিত করে দেন। নিয়ম অনুসারে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তির আদেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন