ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কুটির শিল্প ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ মিয়া (২৮) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের বাড়িতে শুক্রবার জুম্মাহ নামাজের পর ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ী মহাজন জাহিদ মিয়ার অন্যান্য সহযোগী ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ী মিনাল, ভূপেন্দ চন্দ্র দাস, কামরুল হাসান ও আখের মিয়া গ্রাম থেকে ফেরি করে বাসায় এসে তাদের মহাজনকে ডাক দিলে কোন সাড়া পায়নি এবং তারা বাসার গ্রিলে তালা দেওয়া ও ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে বাড়ির মালিক সহ স্থানীয়রা লাঠি দিয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিলে ব্যবসায়ী জাহিদকে হাত-পা বাধা অবস্থা ও তার মুখের উপর বালিশ পড়ে থাকতে দেখতে পায়। নিহত জাহেদ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার গানপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান আকন্দ লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া সহযোগী ব্যবসায়ী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার গাংগপুর গ্রামের ফেরিওয়ালা মিনাল, ভুপেন্দ্র চন্দ্র দাস, কামরুল হাসান ও পাহাড়পুর গ্রামের আখের মিয়া নামে চার জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে জাহিদ মিয়ার বড় ভাই আসাদ তালুকদার জানান, তার ভাইয়ের ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুতা ছিল। কয়েকবার তার ভাই জাহিদকে নিজ এলাকায় ব্যবসার করার জন্য বললে অবশেষে কয়েকদিন আগে জাহিদ বাড়ি ফিরে যাবে বলে তার বড় ভাই আসাদ তালুকদারকে জানায়। কিন্তু আমার ভাইকে বাড়ি নিতে পারিনি। আমি আমার ছোট ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, লাশ উদ্ধার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন