মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে

কাশ্মীর, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতের পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে স্টেট ফর সাউথ এন্ড সেন্ট্রাল কংগ্রেসের এক্টিং এসিসটেন্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট অফ ডিন থমসন গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, থম্পসন ভারতের এমন কিছু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা তিনি ‘ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেন। ডিনের কথায়, ‘এর মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুর পাশাপাশি, বাকস্বাধীনতার উপর ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধ এবং মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের আটক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

ডিন সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, এটি এমন ‘একটি ক্ষেত্র যেখানে আমরা তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিকতায় ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছি: বন্দীদের মুক্তি, ৪জি অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার, সেই প্রকৃতির বিষয়গুলি। আমরা তাদের অন্যান্য নির্বাচনী পদক্ষেপগুলি নিতে দেখতে চাই এবং আমরা তাদের এটি করতে উৎসাহিত করেছি এবং তা অব্যাহত রাখব।’ যদিও ডিনের সাক্ষ্য সম্পর্কে ভারত সরকার কর্তৃক এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি, তবে এটি বোধগম্যভাবে নয়াদিল্লির আঁতে ঘা দিতে পারে। চিড় ধরাতে পারে ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কে। কারণ, ভারত সরকার এই জাতীয় বক্তব্যকে ধারাবাহিকভাবে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তথাকথিত ‘হস্তক্ষেপ’ হিসাবে অভিহিত করে আসছে।

যদিও থম্পসনও ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক কথা বলেছেন বলে জানা গেছে, বিশেষত চীনকে মোকাবেলায় তাদের যৌথ লক্ষ্যের বিষয়ে। তবে, ভারতের খুব সংবেদনশীল ইস্যুগুলিকে টার্গেট করে সমালোচনা নয়া দিল্লির কাছে মিত্র হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার পক্ষে যথেষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ থেকে বোঝা যায় যে, তারা কেবল চীনের বিরুদ্ধে ভারতকে সুরক্ষা প্রদানকারী মিত্রই নয়, বরং হাইব্রিড অর্থে ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা হুমকিতে পরিণত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই ভারতের প্রতি প্রচ্ছন্ন সুরক্ষা হুমকির উদ্রেক করছে, সেটি ভারতের শক্তিধর মিত্রগুলির ভারসাম্যহীন ‘বহু-জোট’ নীতি অনুসরণ করে দেশটিকে জোট পরিপর্তন করতে উৎসাহী করে তুলতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের উদ্বেগজনক গণতান্ত্রিক সঙ্কোচনের বিষয়ে এখনও কোন স্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তবে তারা ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং গোপনে বা প্রকাশ্যে সরকার বিরোধীদের সমর্থনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে দেশটির ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। চরম প্রতিরক্ষা হুমকির মুখোমুখি দাড়িয়ে নিজেদের রক্ষার তাগিদে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করার ফলে ভারত এখন সফ্ট সিকিউরিটি হুমকিতে রয়েছে। দেশটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিকভাবে জড়িত থাকার বিষয়ে তার প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করতে পারে যাতে সেদিক থেকে আসা কোনও হুমকি দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রটিকে কৌশলগতভাবে অসুবিধেয় না ফেলতে পারে, যা তার অবস্থানকে হাইব্রিড হুমকির ক্ষেত্রে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

ইতিমধ্যে দেশটি ওয়াশিংটনের সিএএটিএসএ নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও মস্কোর এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার প্রতিশ্রুতির দিকে এগিয়ে চলেছে। এবং ভারত যদি এই চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত উপলব্ধ করে, তাহলে সম্ভবত আমেরিকার পরবর্তী হাইব্রিড যুদ্ধের শিকার হওয়ার জন্য তাকে তৈরি থাকতে হবে। মস্কোর সাথে সামরিক সম্পর্ক বিস্তারের কারণে নয়াদিল্লির ওপর শাস্তি চাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়াটা ওয়াশিংটনের জন্য খুব সহজ হয়ে উঠবে। সূত্র : ট্রিবিউন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
সাইফুল ইসলাম ১৯ জুন, ২০২১, ২:১৬ এএম says : 0
যাই বলেন, ভারতের সাথে আমেরিকার রিলেশনের অবনতি হবে না....
Total Reply(0)
মোঃ নাজমুল ইসলাম ১৯ জুন, ২০২১, ২:১৭ এএম says : 0
ভারত যতই মানবতাবিরোধী অপরাধ করুক আমেরিকা তাদের ত্যাগ করবে না...মুসলিমদের বিরুদ্ধে তারা সবাই এক।
Total Reply(0)
জোবায়ের খাঁন ১৯ জুন, ২০২১, ২:১৭ এএম says : 0
ভারতের মতো উগ্রবাদি রাষ্ট্রের সাথে পৃথিবীর কোনো দেশেরই সম্পর্ক ভালো না।
Total Reply(0)
নুর নাহার আক্তার নিহার ১৯ জুন, ২০২১, ২:১৮ এএম says : 0
ভারত এমন একটা দেশ যা কোনো প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক নেই।
Total Reply(0)
Fahad Hossain ১৯ জুন, ২০২১, ১০:৩৪ এএম says : 0
চিড়-ধরাটা খুব জরুরী
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন