বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রযুক্তির মাধ্যমে চোর চক্রের ৩ সদস্যকে বিরামপুর ও পলাশবাড়ী থেকে গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২১, ৭:৫৬ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৩ সদস্যকে বিরামপুর ও পলাশবাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মে উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের মৃত আঃ আজিজের ছেলে অটোবাইক চালক এরশাদকে মোবাইল ফোনে ডোমেরহাট নামক স্থানে ডেকে নিয়ে মালামাল পরিবহনের জন্য অটোবাইকটি রিজার্ভ ভাড়া নেয় এক অপরিচিত লোক। এরপর সেখান থেকে অটোবাইকে চড়ে কাঠগড়াহাটে গিয়ে স্টলে চালক এরশাদসহ নাস্তা করে কাশিম বাজার অভিমুখে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ঠান্ডা পানীয় টাইগার খেতে দেয় চালককে। কিছুক্ষণ পর চালক অজ্ঞান হয়ে পড়লে জামতলা নামক স্থানে পথের ধারে তাকে ফেলে রেখে অপরিচিত লোকটি অটোবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। পরে স্থানীয়রা অসুস্থ্য এরশাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এরশাদ সুস্থ্য হয়ে ওই অপরিচিত ব্যাক্তির মোবাইল নাম্বার দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার এস আই আবুল কালামকে দেয়া হয়। মামলাটি তদন্তকালে গুপ্তচরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে আসামি শনাক্ত করেন তিনি ।

গত শুক্রবার (১৮ জুন) বিকালে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বিরামপুর এলাকায় আত্মগোপনে থাকা আসামি মেহেদী হাসান সুমনকে (২৭) গ্রেফতার করে। এরপর মেহেদী হাসানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৯ জুন) ভোর রাতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের মোজাম্মেল হকের ছেলে শাহিন মিয়া (২৭) ও পলাশবাড়ী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২২) কে গ্রেফতার করে।

মেহেদী হাসান সুমন পলাশবাড়ী পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। এরা সবাই সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য এবং একাধিক মামলার আসামি।

থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন