শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গাইবান্ধায় ভাঙন শুরু

ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা-তিস্তার পানি বৃদ্ধি

আবেদুর রহমান স্বপন, গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

ব্রক্ষপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধায় বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়ন, ফুলছড়ি উপজেলার ভূষির ভিটা ও এরেন্ডা বাড়ি, সাঘাটা উপজেলার মুন্সীরহাট ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নসহ নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভাঙনের মুখে পড়েছে। জানা যায়, নদী ভাঙনে প্রতি বছর অসংখ্য বসতবাড়ি, বিভিন্ন সেক্টর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোসহ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই নদী ভাঙনের ফলে এ অঞ্চলের মানুষ এসব ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন সময় আবেদন করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন পর্যন্ত এসব নদী ভাঙন এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
শ্রীপুর ইউনিয়নের খাদিজা বেগম, আমেনা বেগম ও কামরুল হুদা রাজু জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি হলে আমাদের দুর্দশার আর শেষ থাকে না। যখন পানি বাড়তে থাকে তখনই আমাদেরকে বাড়ির সবকিছু নিয়ে বাঁধে এসে থাকতে হয়। জায়গা জমি সব কিছু যদি নদী ভাঙনে নিয়ে যায় তাহলে আমরা কোথায় থাকবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে যদি একটু সাহায্য করের তাহলে আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়াম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, এ ইউনিয়নের পুটিমাড়ি, দক্ষিণ শ্রীপুরসহ ৪টি ওয়ার্ডের ১ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে বাঁধে এবং পরিত্যক্ত জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তুলে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশল মোখলেছুর রহমান জানান, ব্রক্ষপুত্র, যমুনার পানি বাড়ার আগেই এখানকার বাঁধের মেরামত শেষ করা হবে। তবে, ব্রক্ষপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীর কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরিপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন