সিলেটের ওসমানীনগর স্কুল শিক্ষিকা ও কাজের লোকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিাবর দিবাগত রাত ৮টার দিকে দয়ামীর ইউনিয়ন এর সোয়ারগাও গ্রামের ডাঃ বিজয় ভুষন দে এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছেন, সোয়ারগাও গ্রামের ডাঃ বিজয় ভুষন দে শিক্ষিকা তপতী রানী দে (৫৫) ও কাজের ছেলে গৌরাঙ্গ বৈদ্য (২৫)।
জানা যায়,শনিবার রাত ৮ টার দিকে ডাঃ বিজয় ভুষন দের ছেলে ডাঃ তন্ময় দে বিপ্লব দে প্রতিদিনের ন্যায় তার চেম্বার শেষে বাড়িতে এসে অনেক ডাকা ডাকির পর কোন সারা শব্দ না পেতপদী রাণীকে অনেক ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সারা শব্দ পাননি। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ এবং তাহার ব্যবহ্ত মোবাইল ফোন ও বন্ধও রয়েছে এবং তাহার বাড়ি থাকা কাজের ছেলের মোবাইল বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর কোন খোজ কবর না পাওয়ায় আশ পাশের লোকজনকে অবহিত করে ওসমানীনগর থানার যোগাযোগ করা করেন বিজয় ভুষন।
খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানার সাব ইন্সপ্টের নাজমুল হুদার নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাড়িতে এসে ঘরের বাতরুমের জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকার পর, দেখতে পান ঘরের মেজেতে স্কুল শিক্ষিকা তপতী রানী দে'র রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে এবং পাশে কাজের ছেলে গৌরাঙ্গ বৈদ্য (২৫) কে গামছা দিয়ে গলায় ফাস লাগানো।
তপদি রানী দে স্থানীয় সোয়ার গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং তার স্বামী বিজয় ভুষন দে বিশ্বনাথ উপজেলার একটি ইউনিয়নের হেলথ অফিসার।
নিহত তপতী দে এর মৃত দেহের কাছে একটি বটি দা এবং চুরি পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে কাজের ছেলে তপতী দে কে খুন করে নিজে আত্ম হত্যা করেছে।
জানা যায়, কাজের ছেলে প্রায় ৫ থেকে বছর ধরে এ বাড়িতে থাকে। তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় নি।।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণীক ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে নিহতের দের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সিলেট ওসমানী৷ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন