করোনার অবসরে বগুড়ায় বেড়েছে ’ ছাদ বাগান বা ছাদ কৃষি ’ তৈরীর প্রবনতা। এই প্রবনতাকে শুভ উল্লেখ করে সমাজ চিন্তকরা বলছেন , নেশা বা মোবাইল পর্ণো গ্রাফির পরিবর্তে এধরনের খবর খুবই ইতিবাচক !
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বগুড়ায় আগে থেকেই একধরনের সৌখিন মানুষের মধ্যে বাড়ির ছাদের একটি কোনে ফুলের বা ফলের গাছ রাগানোর প্রবনতা ছিল। তবে গত বছরের মার্চ থেকে করোনার বিস্তার,লকডাউন, স্কুল কলেজ ছুটির কারনে অবসরকে কাজে লাগিয়ে ছাদ বাগান ও ছাদ কৃষির প্রবনতা দারুনভাবে বেড়েছে ।
ছাদেই এখন বাহারি ফুল বাগান, আম-জাম,পেয়ারা, আনার, মাল্টা, ত্বীন ও আঙুরের মত ফলের পাশাপশি, মরিচ, শিম, লাউ,করলা,পুঁই শাক সহ সব ধরনের সবজিই আবাদ করা হচ্ছে । যথাযথ পরিচর্যা ও কৃষি কর্মকর্তাদের গাইড লাইন ফলো করায় মাঠে বা স্বাভাবিক মাটিতে চাষের মতই ফলন ও উৎপাদন যথেষ্ট হওয়ায় ছোটখাট পরিবারের চাহিদাও মিটছে এতে।
বগুড়া শহরের জ¦লেশ^রীতলা এলাকার বাসিন্দা এ্যাড. মারুফ রাজার মতে করোনার কারনে হাতে সময় থাকায় ছাদ বাগানে নিজে মনোযোগি হয়েছি , পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েরাও সহযোগিতা করছে । মোটামুটি পুঁইশাক,মরিচ ঝিংগা , চিচিংগা সহ কয়েকটি তরকারির যোগান এখন ছাদ বাগানের উৎপাদন থেকেই আসছে।
নারুলি দক্ষিন পাড়ার আলহাজ¦ লতিফুল করিম জানালেন , বগুড়ার নার্সারিতেই এখন মোটামুটি দুর্লভ সব ফুল ফলাদির কলম চারা পাওয়া যায়। তিনি তার ছাদে ছাদে ত্বিন ও আরবি খেজুরের চারা লাগিয়েছেন । অনেক মানুষই এগুলো দেখতে আসে যা খুবই তৃপ্তিদায়ক। বগুড়ার
মাটিডালি এলাকার মাত্র ১ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ট্রি ওয়ার্ল্ড নামের একটি নার্সারিতে ২৩৫ দেশি / বিদেশি প্রজাতির ফুল, ফল, অর্কিড জাতীয় গাছের চারা সহ ছাদ বাগানের জন্য যেসব সামগ্রী প্রয়োজন তার সবকিছুই পাওয়া যাচ্ছে।
বগুড়ায় করোনাকালে ছাদ বাগানের বিস্তৃতির ধারনা দিতে গিয়ে এটির সত্বাধিকারি তারবিয়াত তানজিম নিতু জানালেন , তার প্রতিষ্ঠানের কর্মিরা গত তিন মাসে ১২টি ছাদ বাগান চুক্তিতে করে দিয়েছে। তার ধারনা মতে আরও শতাধিক নার্সারির পক্ষ থেকেও বহু সংখ্যক ছাদ বাগান তৈরি করে দিয়েছে বা সহযোগিতা করেছে। নিতু নিজেও একজন কলেজ ছাত্রী । করোনাকালিন সময়ে বসে না থেকে কিছু একটা করার তাগিদ থেকে নিতুও তার ব্যাবসায়ি পিতার সহযোগিতায় গড়ে তুলেছেন এই নার্সারি ।
স্থানীয় সমাজ কর্মি বাবু বসুধার মতে, অবসরে মোবাইল ,পর্নোগ্রাফি বা নেমার আসক্তির বদলে যদি মানুষ ছাদ কৃষি, ছাদ বাগান বা অনুরুপ বিষয় নিয়ে যদি মেতে ওঠে সেটা নিরাপদ ও সুস্থ্য সমাজ গ নে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন