এখনো ভোট যুদ্ধ শুরু হয়নি সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে। এর আগইে শুরু হয়েছে আইনীযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে নেমেছেন জাপা মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রাথী হাবিবুর রহমান হাবিব। হাবিবের দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে তার সাংসদ প্রার্থী হওয়া বৈধ নয়, এ বিষয়টি তুলে ধরেই মুলত আপিল করেছেন জাপার এই সিনিয়র নেতা ও দল মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। সেকারনে হাবিবের প্রার্থীতাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে আপিল করেছেন তিনি। আজ রবিবার (২০ জুন) দুপুরে আতিকের আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্য ঢাকাস্থ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দাখিল করেন আপিলের কাগজ। আপিলের শুনানির সম্ভাব্য তারিখ ২৩ জুন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এদিকে, আপিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামা সদস্য ও সিলেট -৩ আসনে জাপা মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আমি নিজে যাইনি। আজ দুপুরে আমার আইনজীবী প্যানেলের কয়েকজন সদস্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দাখিল করেছেন আপিলের কাগজপত্র। এদিকে আইনজীবি প্যানেলে একজন আইনজীবি বলেন, ‘হাবিবের প্রার্থীতা বৈধ হতে পারে না কোনোভাবেই। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী- যদি কারো দ্বৈত নাগরিত্ব থাকে এবং এ দেশে সাংসদ প্রার্থী হতে চান তিনি, তবে ৬ মাস আগে সে দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসে সেই নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন করে করতে হবে সারেন্ডার। তখন দূতাবাস থেকে দেয়া হবে একটি পত্র। সেই ডকুমেন্টটি নির্বচনী হলফনামার সঙ্গে সংযুক্ত করে দিবেন প্রার্থী। কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিব সারেন্ডারের বিষয় তো দূরে- তাঁর দ্বৈত নাগরিত্বের বিষয়টিই উল্লেখ করেননি হলফনামার কোথাও। ’ এছাড়াও ওই আইনজীবি বলেন, ‘এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা গেছেন মাত্র ৩ মাস পূর্বে। কিন্তু নাগরিকত্ব সারেন্ডার করতে হয় ৬ মাস আগে। তাহলে হাবিব কি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর আগেই সারেন্ডার করেছিলেন ? আর যদি করেই থাকেন তবে তো তার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন