শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ গেল চারজনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে গতকাল দুপুরে দক্ষিণ বাড্ডার একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে মোহাম্মদ সুজন (৩০) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতের মামা শাহ আলম জানান, এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম ছিল। গতকাল ওই প্রেমিকার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হলে অভিমানে তার নিজ রুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে সে ফাঁস দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায়। বর্তমানে দক্ষিণ বাড্ডার একটি বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় বংশালে আগামসি লেনের একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইমন (১৩) নামে এক কিশোরের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বংশাল থানার এসআই রুশাদ হাসান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা ও গলায় রশি বাঁধা লাশ পাই। এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা বিষয়টি দেখছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে। নিহত ইমনের মামাতো ভাই মো. শাহীন জানান, আগামসি লেনেই পরিবারের সঙ্গে থাকত ইমন। স্থানীয় আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা বাবুল হোসেন বঙ্গবাজারে একটি দোকানে কাজ করে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল ইমন।

শাহীন আরও জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় ইমন বঙ্গবাজারে তার বাবার দোকানে খাবার দিতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই তাকে আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি অচেনা নাম্বার থেকে তার বাবা বাবুলের ফোনে কল আসে। ফোনে জানায়, ইমন একজনের মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে, আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের কাছে টাকা পাঠাতে হবে। তখন ইমন কোথায় আছে জানতে চাইলে তারা জানায়, ইমন বাসায় চলে গেছে। এরপর ইমনের বাবা বাসায় ফোন করে খবর নিয়ে জানতে পারে ইমন বাসায় যায়নি। পরে আবার ওই নাম্বারে কল করলে তারা জানায়, ইমন ও আহত ব্যক্তিকে নিয়ে তারা হাসপাতাল আছে, তখনও দ্রুত টাকা পাঠাতে বলে তারা। এরপর থেকেই তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ইমনকে। ওই রাতেই বংশাল থানার সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। তখন পুলিশও খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে গতকাল দুপুরের দিকে আগামসি লেন আলাউদ্দিন সুইটমিট গলির একটি ৯ তলা নির্মানাধীন ভবনের ৫ম তলায় তার লাশ পায়। এ সময় হাত, পা ও গলায় রশি পেচানো ছিল। এছাড়া তার মুখেসহ শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । তবে কে বা কারা ইমনকে হত্যা করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

এছাড়া গত শনিবার রাতে রামপুরা বাগিচারটেক এলাকার একটি বাসায় হামিদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বামী মেহেদী হাসান জানান, শনিবার রাত ৯ টার দিকে বাসায় রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় হামিদা। পরে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান তিনি। হামিদা-মেহেদী দম্পতির একটি মেয়ে রয়েছে।

একই রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এর পাশ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। পল্টন থানার এসআই মোশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাতে স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা কেউ তার নাম পরিচয় জানাতে পারেনি। তবে আশপাশের লোকজন মাধ্যমে জানা গেছে, অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি গুলিস্তান এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। থাকতেনও ফুটপাতেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন