গতকাল থেকে সিঙ্গাপুরের বাজারে আগত চীনের তৈরি সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনের ব্যাপক চাহিদা সৃৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। ৫৭ লাখ বাসিন্দার দেশ সিঙ্গাপুর এখন পর্যন্ত তার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেককে টিকা দেওয়ার জন্য ফাইজার এবং মোডার্নার ভ্যাকসিন ব্যবহার করে আসছে। এই দু’টি ভ্যাকসিন লক্ষণীয় করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ বেশি কার্যকর বলে প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও দেশটির নাগরিকরা ৫১ শতাংশ কার্যকারিতা সম্পন্ন্ সিনোভ্যাককেই বেছে নিচ্ছেন।
সিঙ্গাপুরে চীনা ভ্যাকসিনটি আসার প্রথম দিন থেকেই এটি উপলব্ধ করার জন্য মানুষের মধ্যে বেশ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। কারণ দেশটিতে অবস্থানকারী বেশিরভাগ চীনা নাগরিক বিশ্বাস করেন যে, চীনের তৈরির ভ্যাকসিনটি কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াই সেখানে ফিরে যাওয়া আরও সহজ করে তুলবে। সিঙ্গাপুর সিনোভ্যাককে পুরোপুরি অনুমোদন দেয়নি, সুতরাং এটি তাদের জাতীয় টিকা দান প্রচারণার অংশ নয়। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিনোভ্যাককে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়ার পর, বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবাগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি দেয় দেশটির সরকার। তারা ২ শ’ ৩৪ থেকে ৫ শ’ ৮৪ বাহ্ট মূল্যে টিকা বিক্রি করবে। আরও গবেষণামূলক তথ্য সংগ্রহ করা সম্পন্ন হলে দেশটি সাধারণ ব্যবহারের জন্য সিনোভ্যাককে অনুমোদনের বিষয় বিবেচনা করবে বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের ২৪ টি বেসরকারী ক্লিনিকে ২ লাখ সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয়েছে এবং অনেকেই প্রচুর চাহিদার কথা জানাচ্ছেন। একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রািততষ্ঠান জানিয়েছে যে, তারা ২ হাজার ৪ শ’ ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য পরবর্তী মাসের শেষ পর্যন্ত বুকিং পাওয়ার পর, আরও এক হাজার সিরোভ্যাক ভ্যাকসিনের চাহিদার কারণে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রিজার্ভেশন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই ভ্যাকসিনটির পেতে যারা অনুরোধ করেছেন, তাদের বয়স ৪০ এর বেশি এবং বাড়ি যেতে ইচ্ছুক অনেক চীনা নাগরিক চান, তারা চিন্তিত যে, বিদেশী ভ্যাকসিন উপলব্ধ করে চীনে গেলে, দেশটি সেটি গ্রহণ করবে না। সেকারণে তারা বিশ^াস করে যে সিনোভ্যাক নিলে সেই সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য, অনুমোদিত ভ্যাকসিন ছাড়া চীনে প্রবেশকারীদের জন্য ১ মাসের কোয়ারেন্টিন আরোপিত রয়েছে। সূত্র : থাইগার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন