টঙ্গী সংবাদদাতা : গাজীপুর-২ আসনের সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে খালাস পেয়ে ১২ বছর পর কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। উচ্চ আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া দুইজন হলেন- টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার আজহার উদ্দিন সরকারের ছেলে রাকিব উদ্দিন ওরফে পাপ্পু সরকার এবং টঙ্গীর মরকুন এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আয়ুব আলী। কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার মো. নাসির আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ওই দুইজনের ৩০ বছর করে কারাদ- দিয়েছিলেন আদালত। পরে উচ্চ আদালতে রিভিউ করলে আদালত তাদের দুইজনকে মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন। আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টায় তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ৭ মে নিজ বাসভবনের সামনে সাবেক টঙ্গী পৌর ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন গাজীপুর-২ আসনের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার। এসময় স্কুলছাত্র রতনও নিহত হয় এবং কেন্দ্রিয় যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মহলসহ আরো ১০/১২ জন আহত হন। গাজীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল ইসলাম সরকারকে হুকুমের আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয় তৎকালীন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে জাতীয় পার্টির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম দিপুকে। বিচারিক আদালত নূরুল ইসলাম দিপু ও নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন। গত ১৪ জুন এই মামলার আপিলের রায়ে নূরুল ইসলাম দিপু ও নূরুল ইসলাম সরকারসহ ৬ জনের ফাঁসির দ-াদেশ বহাল রাখা হয় এবং ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত অপর ৭ জনকে যাবজ্জীবন এবং রাকিব উদ্দিন ওরফে পাপ্পু সরকার ও আয়ুব আলী সহ ৭ জনকে খালাস দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে বাদী পক্ষ পুনরায় আপিল করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন