মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকার হিমায়িত মৎস্য রফতানি বৃদ্ধিতে সচেষ্ট : শ ম রেজাউল করিম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ৮:০৭ পিএম

সরকার হিমায়িত মৎস্য রফতানি বৃদ্ধিতে সচেষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ সোমবার বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আগে বাংলাদেশে যা কোন সরকার নেয়নি। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সব বিষয়ে এ খাতকে আলাদাভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতের উন্নয়নে গৃহীত সকল প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এর অর্থ এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তার আন্তরিকতা ও আগ্রহ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ২৯ প্রজাতির দেশীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ নতুন করে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, উপসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, এ জেড এম নূরুল হক ও মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস্ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিন উল্লাহ, সিনিয়র সহসভাপতি মো. খলিলুল্লাহ, সহসভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ ও হুমায়ুন কবির, পরিচালক শ্যামল দাস, মহাসচিব শেখ সোহেল পারভেজ, সাবেক সহসভাপতি ড. সৈয়দ আবু আসফার, এসিআই এগ্রো বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফা হ আনসারী এবং জেমিনি সী ফুডস্ লিমিটেড, খুলনা-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, মৎস্য খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য, এ খাতের রফতানি বৃদ্ধিসহ রফতানির সাথে সম্পর্কিত যে কোন সমস্যা দূর করার জন্য সবধরনের পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। হিমায়িত খাদ্য রফতানির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা দূর করার বিষয়টি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে সরকার বিবেচনা করবে। তবে এ ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোক্তাসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি বলেন, “করোনা ক্রান্তিকালে মৎস্য খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে সৃষ্ট সমস্যা দূর করা হয়েছে। মাছ উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকারিভাবে পোনা বিতরণ করা হয়েছে, মৎস্য খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং একশ কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। উৎপাদিত মাছ বিক্রয়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ ও অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এভাবে করোনায় মৎস্য খাতকে সচল রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন