অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (আইআইওজেকে) ‘ক্রমবর্ধমান যৌন সহিংসতা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান বিশ্বকে কাশ্মীরি মহিলাদের উপরে যৌন নিগ্রহের বিভিন্ন অভিযোগের দিকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলোতে যৌন সহিংসতা দূরীকরণের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে শনিবার ইসলামাবাদ সংঘাতের অঞ্চলে ‘সকল ধরণের সহিংসতা, শোষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হাত মিলিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এ দিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই দিনে আমাদের অবশ্যই আইআইওজেকে-র সাহসী বীরদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যারা ভারতীয় দখলদার বাহিনীর হাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মুখোমুখি হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আইআইওজেকে বসবাসকারী নারী, মেয়ে এবং শিশুদের জন্য জীবন এখন শাখের করাতের মতো হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে কেবল তাদের মৌলিক অধিকারগুলো হ্রাস ও দমনই করা হয়নি, তাদেরকে দমিয়ে দিতে যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকারও বানানো হচ্ছে। এসবই করা হচ্ছে যাতে তারা জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের প্রস্তাবসমূহের ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসনের বৈধ অধিকার দাবি করতে না পারে।’
১৯৯১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আইআইওজেকের কুনান ও পশপোড়া গ্রামে কাশ্মীরি নারীদের উপর যে ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল তা স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ‘এখনও পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে।’ তার যুক্তির পক্ষে মানবাধিকার হাই কমিশনার অফিস সহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর খবরের বরাত দিয়ে ইসলামাবাদ দাবি করেছে যে, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত অধিকৃত উপত্যকার সংবিধান স্বীকৃত বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দেয়ার পর থেকে সেখানে শিশু সহ সকল লিঙ্গের মানুষের উপরেই যৌন সহিংসতা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিব্রিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন