৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবী মেটাতে না পাড়ায় নিজ স্বামীর হাতে খুন হতে হলো শেরপুর সদর উপজেলার মুন্সিরচর গ্রামের দুই সন্তানের জননী নাসিমা বেগম (২৬) এর। শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা সময় নাসিমার বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশ নিয়ে হাজির হয় মফিজের বাড়ীতে। এতে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয় নাসিমার পাষন্ড স্বামী মফিজ উদ্দিনের (৩০)। আর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মফিজ উদ্দিনের (৩০) নামের ওই স্বামীকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত মফিজ উদ্দিন একই এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে।
দশ বছর আগে মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ডিগ্ররচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে নাসিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নানা সময় নাসিমাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো মফিজ। এ নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠকও হয়।
সম্প্রতি মফিজ তার এক শ্যালিকার বিয়েতে যায়। শ্যালিকা সম্পর্কের একজনকে তার পছন্দ হয়। আর এঘটনায় তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এসময় মফিজ নাসিমার কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সে তার স্ত্রীকে আজ ২২জুন সকালে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তা ধামাচাপা দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে দাফন করার প্রস্তুতি নেয়। খুরা হয় কবর, মরদেহ গোসল দেয়ার প্রস্তুতি চলছিলো, আনা হয়েছিলো দাফনের কাপড়। আর এসময়ই পুলিশ গিয়ে হাজির হয় মফিজের বাড়ীতে। আটক করা হয় মফিজকে।
স্বজনদের দাবী নাসিমা মৃত্যুর আগে মোবাইলে আমাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু মফিজ কথা বলতে না দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় নাসিমাকে। তারা এ হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। এলাকাবাসীও এ জড়িতদের শাস্তি চান।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ হান্নান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাসিমার গলার বামপাশে কালচে দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এখনো কেউ এজাহার দেয়নি। এজাহার পেলে এ ব্যাপারে আইনগত কার্যক্রম শুরু হবে।
যৗতুক ও স্বামীর পরকীয়ার বলি নাসিমা হত্যা ও এ হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেয়ার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হউক, এমনটাই আশা এখনকার নারীনেত্রীসহ সতেন মহলের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন