শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজারে বাড়ছে করোনা

আগামী কাল থেকে খুলছে হোটেল মোটেল, বিশেষজ্ঞদের মতে আত্মঘাতী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ১১:০৮ এএম

কক্সবাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর হার। গতকাল মঙ্গলবার একদিনেই ১১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়াও কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে এপ্রিল মে জুনে কক্সবাজারে করোনা রোগী বেড়েছে। এ অবস্থায় আগামীকাল ২৪ জুন থেকে কক্সবাজারে পর্যটন খাতে হোটেল মোটেল খুলে দেয়া আত্মঘাতী বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ওদিকে হোটেল মোটেল জোনে খবর নিয়ে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে
কথা বলি জানা গেছে, সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন স্পষ্ট গুলো বন্ধ রেখে আগামী কাল থেকে
হোটেল মোটেল খুলে দেয়ার কথায় তারা খুশি না।

পর্যটন ব্যবসায়ীদের মতে ঢাকার সাথে কক্সবাজারের পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ রেখে সমুদ্র সৈকত বন্ধ রেখে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার কথা অর্থহীন। কারণ মানুষ সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে না পারলে শুধু হোটেলে ঘুমাতে আসবেনা।

এদিকে ২১ জুন র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ পুরো জেলায় ৬৮ জনের নমুনা টেস্ট করে ১৯ জনের টেস্ট রিপোর্ট 'পজেটিভ' শনাক্ত করা হয়। বাকী ৪৯ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের
ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে নমুনা টেস্ট করে ‘পজেটিভ' শনাক্ত শনাক্ত হওয়া ১৯ করোনা রোগীর মধ্যে ১৭ জন কক্সবাজার সদর উপজেলার এবং ২ জন উখিয়া উপজেলার রোগী। নমুনা টেস্টের তুলনায় পজেটিভিটির হার
২৮% ভাগ।

সুত্র মতে, র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে করোনার নমুনা টেস্ট শুরু হওয়ার পর থেকে এটা একটা রেকর্ড।

অন্যদিকে,কক্সবাজার মেডিকেল
কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত সোমবার ২১ জুন নমুনা টেস্টের তুলনায় পজেটিভিটির হার ছিলো ১১´৯৮%।

এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব এবং র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট পদ্ধতিতে নমুনা টেস্ট করে কক্সবাজার জেলায় মোট ৭৫ জন ‘পজেটিভ’ রোগী শনাক্ত করা হয়।

এ অবস্থায় কক্সবাজারে বিমান সড়ক পথে পরিবহন সার্ভিস চালু করা এবং সীমিত পরিসরেও আবাসিক হোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন- কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেন-এমন একজন গবেষক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গবেষক বলেছেন-সার্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে কক্সবাজার জেলায় করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুনঃ বিবেচনা করা উচিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন