বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

ঢাকার সকল বার ও ক্লাবে নিষিদ্ধ হতে পারেন পরীমণি!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ১১:২৮ এএম

বর্তমানে সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা, এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঘটনায় বিচার প্রার্থনার মাধ্যমেই আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। এর পরপরই থানায় পরীমণির মামলা নেওয়া হয়, গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচ জনকে।

এর মধ্যেই ঘটনাপ্রবাহে নতুন মাত্রা যুক্ত হয় গুলশান-১ এলাকায় অবস্থিত অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ আনে। অভিযোগে তারা জানান, পরীমণি মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় অসদাচরণ ও ভাঙচুর করেছেন তাদের ক্লাবে। এ বিষয়ের জের ধরে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা দাবি জানিয়েছেন যে পরীমণির বার ও ক্লাবগুলোতে নিষিদ্ধ করা হোক।

শুধু ক্লাব সদস্যই নয়, ক্লাবগুলোর নিয়মিত অতিথিদের মধ্যে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক, কলাকুশলীরাও এমন দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। বার ও ক্লাবের সদস্যরা পরীমণির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিতে রীতিমতো চাপও প্রয়োগ করছেন। এ অবস্থায় রাজধানীর সব ক্লাব ও বারে পরীমণির নিষিদ্ধের ঘোষণা আসতেও পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন ক্লাব ও চলচ্চিত্রাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পরীমণি নিয়মিত রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব ও বারে যাতায়াত করেন। সেক্ষেত্রে নিয়মিতই তিনি মধ্যরাতেই কোনো না কোনো সঙ্গীকে নিয়ে এসব বার ও ক্লাবে গিয়ে থাকেন। উত্তরা ক্লাব, গুলশান কমিউনিটি ক্লাব, গুলশান ক্লাব, শাহীন ক্লাবসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি ক্লাবে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। আর যেখানেই যেতেন, সেখানেই কোনো না কোনো সমস্যা তৈরি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি বিল না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এর মধ্যে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পরীমণির ঢাকার ক্লাব ও বারগুলোতে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আলোচনায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কৌশলগত কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা না এলেও মৌখিকভাবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
মোহাম্মদ আলী ২৩ জুন, ২০২১, ১২:১৪ পিএম says : 0
সেই সব কুলাঙ্গার কথিত নারীবাদী নামধারী নেড়িবাদীরা আজ কোথায়, যারা পরিমণির জন্য চোখ দিয়ে ............. করছিলো।
Total Reply(0)
MD Abdullah ২৩ জুন, ২০২১, ২:০৩ পিএম says : 1
সকল বার ও ক্লাব নিষিদ্ধ করা হউক। পরিমণিকে শাস্তির আওতায় আনা হউক।
Total Reply(0)
সিকদার মাহমুদুল হাসান ২৩ জুন, ২০২১, ২:০৪ পিএম says : 0
তাহাকে মিডিয়া ও পত্রিকায় নিষিদ্ধ করা উচিত
Total Reply(0)
MD Obaydullah Jalali ২৩ জুন, ২০২১, ২:০৪ পিএম says : 0
ওর লাগাম টেনে ধরার এটাই উপযুক্ত সময়
Total Reply(0)
MD Shaheen ২৩ জুন, ২০২১, ২:০৬ পিএম says : 1
এটা অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ। আমার তিব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি !
Total Reply(0)
sats1971 ২৪ জুন, ২০২১, ৯:৪৭ এএম says : 0
If anybody starting false case against and it proved than what is the human right, In our country if proved that case was false and get punishment up to 7 years jail and fine pay to them up to core take as the gravity of case. This is the right of human other wise sustainable development is very difficult. False case focus to the nation and present govt faces very difficult to development country. Now in our country, law enforcement very alert and trying to decreasing false case. After dead of Bangabandhu false cases increased very quickly in our society and nation going to dark about false cases and present govt trying to removing false cases and keep try to low level . False case is very obstruction to development country and nations.
Total Reply(0)
Dadhack ২৭ জুন, ২০২১, ৬:০৭ পিএম says : 0
বাংলাদেশের লক্ষ্য কোটি মানুষ গরিব ক্লাবের মেম্বার হয় 30 লক্ষ 40 লক্ষ বা এক কোটি টাকা দিয়ে এই টাকা এই লোক গুলো কোথায় পায়....আজ আমাদের দেশ প্রাণ দিয়ে শাসন করা হলে এইসব লুচ্চামি হত না. বিশ্বশ্রেষ্ঠ শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহমতউল্লাহ লিখেছেন: অকাট্য দলিল ও সমস্ত উম্মাহর ঐক্য বদ্ধ ঐক্যমতের ভিত্তিতে একথা স্পষ্ট যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্মকে সমর্থন করবে কিংবা মোহাম্মদ [সাঃ] শরিয়া ব্যতীত অন্য কোন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সমর্থন করবে সে কাফের. যেভাবে কেউ কোরআনের কিছু অংশ বিশ্বাস করে আর কিছু অংশ অবিশ্বাস করলে কাফের হয়. { মাজমুউ ফাতাওয়া শাইখুল ইসলাম 524/28 ইসলামের একটি প্রসিদ্ধ মূলনীতি হলো হারাম কাজের পথ বন্ধ করা, অর্থাৎ এর নিয়ম হলো যে সমস্ত কথা কিংবা কাজ হারামের দিকে ঠেলে দেয়; হারাম কাজের পথ খুলে দেয়, সে সমস্ত কথা বা কাজ কেও হারাম ঘোষনা করা যাতে হারামের পথ বন্ধ থাকে. Surah: 3: Ayat: 189: “এবং আল্লাহরই জন্য আসমানসমূহ এবং যমীনের বাদশাহী এবং আল্লাহ প্রত্যেক বস্তুর উপর শক্তিমান”। Surah: 33: Ayat: 1 “হে অদৃশ্যের সংবাদ বর্ণনাকারী (নবী)! আল্লাহর এভাবেই ভয় রাখুন! এবং কাফির ও মুনাফিকদের কথা শুনবেন না; নিশ্চয় আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়;” “Legislation is not but for Allah. He has commanded that you worship not except Him.”(Surah:Yusuf: Ayat:40) বিধান একমাত্র আল্লাহরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে তাকে ছাড়া আর কারও এবাদত করো না এটি সঠিক দিন কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না.[ Surah:Yusuf: Ayat:40] “He shares not His legislation with anyone” (Surah:18: Ayat:26) “আল্লাহ তার কোন সিদ্ধান্তে তিনি কাউকে শরিক করেন না” Surah:5: Ayat:44: “যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার করে না এমন লোক তো পূর্ণ কাফির” Surah:5: Ayat:45: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করে না তাহলে তো এমন ব্যক্তি পূর্ণ জালিম.” Surah:5: Ayat:47: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে না, তাহলে তো এই লোকই পাপাচারী ফাসেক” (সুরা:মায়িদা,আয়াত:৪৮)‘আমি তোমাদের প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি এর আগে অবতীর্ণ কিতাবের সমর্থক ও সংরক্ষক হিসেবে। সুতরাং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে তাদের বিচার নিষ্পত্তি করো এবং যে সত্য তোমার কাছে এসেছে তা ত্যাগ করে তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কোরো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরিয়ত ও স্পষ্ট পথ নির্ধারণ করেছি।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯): “পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র দ্বিন। যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা পরস্পর বিদ্বেষবশত তাদের কাছে জ্ঞান আসার পরও মতবিরোধ করেছিল।’ Surah:3: Ayat: 83: “তবে কি (তারা ) আল্লাহর দ্বীন ব্যতীত অন্য দ্বীন চায় ? এবং তাঁরই সম্মুখে গর্দান অবনত করেছে যে কেউ আসমানসমূহ ও যমীনে রয়েছে স্বেচ্ছায় ও বাধ্য হয়ে এবং তাঁরই দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করবে ।” Surah: 3: Ayat: 85 “এবং যে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম চাইবে তা তার পক্ষ থেকে কখনো গ্রহণ করা হইবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রহস্থদের অন্তর্ভূক্ত” । Surah:6: Ayat:114: “বল, তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কে বিচারক মানবো? যদিও তিনি তোমাদের প্রতি বিস্তারিত ভাবে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন. যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা জানে যে এই কোরআন তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে সত্যসহ অবতীর্ণ করা হয়েছে, সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হইও না” Surah: 25: Ayat:30: “মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলবেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় এ কোরআনকে পরিত্যাজ্য করেছে তারা কোরআন শুনে উনি এবং তার উপর আমল করে নি” সংক্ষিপ্ত তাফসীর: “মুশরিকরা কোরআন পাঠের সময় খুব হইহল্লা করত যাতে কোরআন না শোনা যায় এটাও এক ধরনের কোরআন পরিত্যাগ করার নামান্তর কোরআনের প্রতি ঈমান আনা এবং সেই মত আমল না করাও কোরআনের বর্জন করার নামান্তর, কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা না করা, কোরআনের আদেশ উপদেশ পালন না করা এবং তার নিষেধ হতে বিরত না থাকাও এক প্রকার কোরআন ছেড়ে দেওয়ার নামান্তর, অনুরূপ তার উপর অন্য কোন কিতাব অগ্রাধিকার দেওয়া ও তা পরিত্যাজ্য মনে করার মধ্য গণ্য. উক্ত সকল লোকদের বিরুদ্ধে কেয়ামতের দিবসে মহান আল্লাহর কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বিচার প্রার্থনা করবেন” তাহলে তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে. এই দুনিয়ার বন্দুকের নলের শক্তির তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারবে না…. Sura:29. Ayat:2 : “মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? Sura:29. Ayat:3: “আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্যবাদী এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে ” Sura:29. Ayat:4: “যারা মন্দ কাজ করে, তারা কি মনে করে যে, তারা আমার হাত থেকে বেঁচে যাবে? তাদের ফয়সালা খুবই মন্দ”
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন