শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাঁঠালিয়ায় ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কলেজ ছাত্র নিহত

আহত ১৫, আটক ৩

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ১:১৮ পিএম

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আরিফ হোসেন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অনন্ত ১৫ জন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছোনাউটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ২১ জুন কাঁঠালিয়ার আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন মজিবর রহমান। মঙ্গলবার রাতে বিজয়ী মেম্বারের সমর্থকরা স্থানীয় ছোনাউটা কেরাত আলী দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পিকনিকের আয়োজন। একই ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফারুক মিয়ার কর্মী আলী হোসেন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিজয়ী মেম্বার মজিবর রহমানের সমর্থকরা তাকে আটকে বেঁধে রাখে। এ খবর পেয়ে ফরুকের লোকজন আটক হোসেনকে ছাড়াতে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। সংর্ঘষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আরিফ হোসেনকে (২০) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে। নিহত আরিফ উপজেলার ছোনাউটা গ্রামের শিক্ষক শাহ আলম আকন লাল মিয়ার ছেলে। সে বাগেরেহাট সরকারি পিসি কলেজের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

কাঁঠালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, সংর্ঘষে নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত আরিফের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে নলছিটি উপজেলার রানাপাশায় ইউপি নির্বচনে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী ও তাঁর কর্মীদের হামলায় পরাজিত প্রার্থীর ৮ সমর্থক আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা একটি দোকান ভাঙচুর করে। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা জানায়, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাইদুল ইসলাম মন্টু ও রজ্জব আলী খান প্রতিদ্বদ্বিতা করেন। ভোটে মন্টু বিজয়ী হয়। পরাজিত রজ্জব আলী খানের পক্ষে প্রচারণা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গবার বিকেলে জাহাতলা বাজারে জলিল সিকদারের দোকান ভাঙচুর করে বিজয়ী ইউপি সদস্য ও তাঁর কর্মীরা। এতে বাধা দিলে রশিদ সিকাদার (৯০), তাঁর ছেলে নাসির সিকদার (৪৫), মাকসুদা (৪৫), মুক্তা (২১), মুন্নি (১৮) ও বাদুল মোল্লাকে (২১) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন