সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এই দরপতনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক, বীমা ও বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। এই তিন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দামে এক প্রকার ধস নেমেছে। তবে পতনের বাজারে দাপট দেখিয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গতকাল বাজারে লেনদেনের শুরুতেই বেশিরভাগ ব্যাংক, বীমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার দাম কমে যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত পতনের এই ধারা অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৫০টি বীমার মধ্যে মাত্র দুইটির দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে ৪৭টির দাম কমেছে। বাকি একটির শেয়ার লেনদেন হয়নি। অপরদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র একটির। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩টির। আর ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এ ছাড়া বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ৪২টির শেয়ার দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১১টির। আর পাঁচটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্যাংক, বীমা ও বস্ত্র খাতের এই পতনের মধ্যে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো। তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৫টির দামই বেড়েছে। বিপরীতে একটির দাম কমেছে। আর একটির লেনদেন হয়নি।
এদিকে সব খাত মিলে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩৩টি। বিপরীতে দাম বেড়েছে ২১৭টির। আর ২২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৯ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৩৫ পয়েন্টে নেমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ছয় পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের বড় পতন হলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩০ কোটি তিন লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক ন্যাশনাল ফিডের ৬৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যাকসন স্পিনিং। এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ড্রাগন সোয়েটার, কাট্টালী টেক্সটাইল, এসএস স্টিল, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ওরিয়ন ফার্মা, কুইন সাউথ টেক্সটাইল এবং কেয়া কসমেটিকস। অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৯৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৯টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন