বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ রাখার দাবি জানালেন কঙ্গনা!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২১, ১০:৪৭ এএম

দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ রাখার দাবি জানিয়ে নেটদুনিয়ায় আবারো বিতর্ক তৈরি করলেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি মনে করেন ব্রিটিশদের দেওয়া ‘ইন্ডিয়া’ নামটিতে দাসত্বের গন্ধ রয়েছে। তাই পশ্চিমী দুনিয়ার নকল করার চেষ্টা না করে ‘ভারত’ যদি নিজের প্রাচীন আধ্যাত্মিকতা ও জ্ঞানের শিকড়ে থাকতে তবে উন্নতি হবে। টুইটার থেকে আগেই বিতাড়িত হয়েছেন কঙ্গনা। তার বদলে ভারতীয় কু অ্যাপে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সেখানেই কঙ্গনা এমন দাবি জানিয়েছেন।

তার মতে, ভারত তখনি উন্নত হবে যখন তার শিকড় থাকবে প্রাচীন আধ্যাত্মিকতা ও জ্ঞানের গভীরে। সেটাই আমাদের সভ্যতার আত্মা। বিশ্ব আমাদের মুখাপেক্ষী হবে এবং আমরা বিশ্বের নেতা হয়ে উঠবো যদি আমরা নগরোন্নয়নে জোর দিই। সেটাও আবার পশ্চিমী দুনিয়ার সস্তা কপি না হয়ে বরং বেদ, গীতা, যোগকে শিকড় বানিয়ে। আমরা কি এই দাসত্বের নাম ইন্ডিয়া বদলে ভারত নামে ফিরতে পারি?

কঙ্গনা আরো লিখেছেন, ইন্ডিয়া শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল সিন্ধু নদের পূর্ব দিক। এটা কেমন নাম? আপনি কি কোনো শিশুকে এমন নাম দেবেন বোঁচা নাক, সি সেকশন? ব্রিটিশরা আমাদের দাস মনে করেই ইন্ডিয়া নাম দেয়। অপরদিকে ভারত নামের অর্থ দেখুন। বিএইচ (ভাব), র (রাগ), ত (তাল)। ব্রিটিশদের দাসত্বের শৃঙ্খলে বাঁধা পড়ার আগে আমরাই ছিলাম সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক দিক থেকে সবথেকে উন্নত সভ্যতা। ব্রিটিশরা সেটা জেনেই শুধু দেশের নাম বদলে ক্ষান্ত হয়নি বরং গুরুত্বপূর্ণ সৌধেরও নাম বদলেছে। সেই হারানো গৌরব আমাদের ফেরানো উচিত। আর শুরুটা না হয় দেশের নাম দিয়েই হোক।

তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি নাস্তিক ছিলেন। কিন্তু অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ গুলি পড়েছিলেন। সেখানে নারীদের অবমাননাকর বিষয় পড়ে আশ্চর্য হয়েছিলেন তিনি। কঙ্গনা জানান এরপরেই তিনি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পড়া শুরু করেন এবং দ্রৌপদী, সীতা, পার্বতী সহ নানা মহান নারী চরিত্রদের কথা পড়ে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য বোঝেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন