শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

প্রতিবন্ধীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে চাপা হোসেন (৩২) নামে এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঈশ্বরদী থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে উল্লিখিত এলাকার জনৈক মানিক সরদারের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারণা করা যায় যে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। পুলিশ ঐ বাড়ির পুত্রবধূ জাহিদুল সরদারের স্ত্রী সামেলা খাতুন (৩৮)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছে।

এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, পাবনার চাটমোহরের প্রতিবন্ধী চাপা ভ্যানে করে দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে ভিক্ষা করে ও মানিক সরদারের বাড়িতে থাকে। সামেলার স্বামী জাহিদুলের ভ্যানে চড়েই সে ভিক্ষা করে। মানিক সরদারের পুত্রবধূ সামেলা খাতুনের বাবার বাড়ি মৃত চাপা হোসেনের বাড়ির পাশে বিধায় তাদের মধ্যে চেনাজানা ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিলো। সেই সূত্র ধরেই চাপা হোসেনের ভিক্ষাবৃত্তির অর্থসহ সেই বাড়িতেই অবস্থান করতো। চাপা হোসেনের সমস্ত অর্থই সামেলার হেফাজতে রাখা হতো। জমাকৃত বিপুল অর্থ সামেলা খাতুন গং আত্মসাৎ করার কারণে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে কৌশলে ডেকে নিয়ে সামেলা খাতুন গং তাকে হত্যা করে গভীর রাতে লাশ গুম করার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা গ্রামপুলিশ রশিদুল্লাহকে ঘটনা জানায়। তারা এক পর্যায়ে ঐ বাড়ির ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদেরকে বাধা প্রদান করা হয়। তখন তারা থানায় ফোন করলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সামেলা খাতুনকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার বিষয়ে সামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন