শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেপরোয়া হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, নীরব কেন্দ্রীয় নেতারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২১, ১২:০৩ এএম

পদ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। পদ বাণিজ্যসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ৩০ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর পরেও থামছে না তাদের বিতর্কিত কর্মকান্ড। সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য ছাত্রলীগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে আর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গত বছর থেকে কমিটি স্থগিত থাকলেও সাইদুর রহমান ও মাহি ছাত্রলীগের সকল কর্মকাÐ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও কমিটি স্থগিতের পর আর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। স্থগিত কমিটি বাতিল করা বা পুনরায় বহাল করা কিংবা নতুন কমিটিও গঠন করছে না। এদিকে ছাত্রলীগের এই দুই নেতার বিতর্কিত কর্মকান্ড চলছেই।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারি এক বছরের জন্য সাইদুর রহমানকে সভাপতি ও মহিবুর রহমান মাহিকে সাধারণ সম্পাদক করে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। কমিটি অনুমোদনের কিছুদিন পরেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন সাইদুর রহমান ও মহিবুর রহমান মাহি।
গত ১৯ এপ্রিল হবিগঞ্জের স্থানীয় একটি পত্রিকার অফিসে মাহির নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এরপর পত্রিকাটির সম্পাদকের বাসভবনেও হামলা করেন মাহি। এ ছাড়া মাহির বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জাপ্পি নামের স্থানীয় ছাত্রলীগের এক কর্মীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি। এরপর জহিরুল ইসলাম রুপম নামের আরও একজনের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন মাহি নিজেই। পদ বাণিজ্যের এ অভিযোগে উঠলে গত বছর ৩০ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়।
মাহতাবুর আলম জাপ্পি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, তিনি ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে বলেছেন, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য জেলা সভাপতিকে ১১ লাখ টাকা আর সাধারণ সম্পাদককে ৯ লাখ টাকা দেন। এই টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ও নগদে লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে মাহির বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলা হয়েছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন