নেছারাবাদে আনসার ভিডিপি সদস্য পদে চাকরি দেয়ার নাম করে সবুজ আচার্য্য নামে এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬ জন নারী পুরুষের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে মোট ৯৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচনকালীন ডিউটির নাম করে আরো বেশকিছু টাকা নিয়েছেন।
সবুজ আচার্য্য উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের সহকারী আনসার কমান্ডার পদে দায়িত্বরত আছেন। ওই আনসার সদস্য উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ওই ওয়ার্ডের সন্তষ কুমার আচার্য্যের ছেলে। সবুজ আচার্য্য আনসার ভিডিপি সদস্য পদে চাকরির পাশাপাশি মিয়ারহার শাখার ব্রাক ব্যাংকে সিকিউরিটি গার্ড পদে চাকরি করেন।
পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের সুকণ্ঠ মিস্ত্রির স্ত্রী কবিতা মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, আমার স্বামী একজন দিনমজুর। আমিও মাঝে মধ্যে মানুষের বাড়িতে কাজ করি। সবুজ একদিন আমার বাড়িতে এসে বলে ৬ হাজার টাকা দিতে পারলে তোমাকে আনসার সদস্য পদে চাকরি দেয়া হবে। চাকরি হলে সাথে সাথে নির্বাচন, পূজাসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে তোমাকে ডিউটিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ডিউটির জন্য সরকার তোমাকে ভাতা দেবে। একইসাথে তোমাকে ট্রেনিংয়ে পাঠানো হবে। ট্রেনিং শেষে একটা সার্টিফিকেট পাবে। যে সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে চাকরির জন্য তোমার ছেলে মেয়ের কাজে আসবে। একই গ্রামের অনিমা মজুমদার, সুলতা মিস্ত্রি, সুবির মিস্ত্রিসহ আরো বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সবুজ।
অভিযুক্ত আনসার সদস্য সবুজ আচার্য্য অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ছয় হাজার করে টাকা নিয়েছি সত্য। তবে তাদের টাকার বেশি অংশই গত ২৩ জুন ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা ধীরে ধীরে দিয়ে দেব। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপজেলা আনসার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজ বেগমকে না পেয়ে একাধিকবার তার ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি। উপজেলা আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক আমিনুল হক বলেন, শিগগিরই সবুজের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন