বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি ছাড়া আওয়ামী লীগ চোখে কিছু দেখে না: মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ৯:৩১ পিএম

ফাইল ছবি


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিএনপি ছাড়া কাউকেই চোখে দেখে না। বিএনপি ছাড়া তাদের কথা বলার কোনো বিষয় নেই। দেশে করোনায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। টিকা নিয়ে কারচুপি করলেন, টিকার কারণে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। লুট করে টাকা বিদেশে জমা হচ্ছে- এই সম্পর্কে কোনো কথা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে গিয়েছে- সেই সম্পর্কেও কোনো কথা নেই।

রোববার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির খুলনা বিভাগের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তিনি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও সাজা বাতিল এবং কেন্দ্রীয় প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, যখন আমি ঘরের মধ্যে স্লোগান শুনি, তখন ভীত হয়ে যাই। আর এই স্লোগান যখন আমি রাজপথে শুনি, তখন সাহসী হয়ে যাই। স্লোগান ঘরের মধ্যে নয়, রাজপথে দিতে হবে, সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই স্লোগান যখন আওয়ামী সরকারের কানে পৌঁছাবে, আর ছোট ছোট মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা যখন ঐক্যবদ্ধ হব- তখন এই সরকার নড়বড়ে হয়ে যাবে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, সভ্য দেশ ও সভ্য সরকার হলে অবশ্যই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিত। কিন্তু এই সরকার সেটা করেনি, আর করবেও না। আমরা তাদের (সরকার) কাছে আর আশাও করতে পারি না। তারপরও আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য জোর দাবি জানাবো।

মির্জা আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে আজকের এই সরকারকে। আজ হোক কিংবা কাল হোক, মাফ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিএনপি অত্যাচারের ব্র্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা ব্র্যান্ড শব্দটা শিখলেন কবে? অবৈধভাবে টাকা কামিয়েছেন। অবৈধভাবে এই সরকারকে ব্যবহার করে টাকা কামিয়ে ব্র্যান্ডের কাপড় পরেন, আর বিদেশ থেকে সেলাই করে নিয়ে আসেন। আমরা এসব বুঝি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বিদেশ থেকে কোনো উপহার পেতেন, তার সেই সমস্ত উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতো। এই সরকার অত্যাচারের ব্র্যান্ড, খুনের ব্র্যান্ড, গুমের ব্র্যান্ড, লুটের ব্র্যান্ড। অত্যাচারের যত সীমা রয়েছে এই সরকার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

বিভিন্ন দেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশের এই সরকারও সেসব ফ্যাসিস্ট সরকারদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের মতো এই সরকারেরও করুণ পরিণতি হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুজ্জামান রিপন, বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন