বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৯ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

বান্দরবানে নওমুসলিম ফারুক হত্যা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নওমুসলিম মো. ওমর ফারুককে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে হত্যার নয় দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। খুনীরা গ্রেফতার না হওয়ায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বান্দরবানের সাধারন মানুষের মধ্যে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং পাহাড়ের সাধারন শান্তিপ্রিয় মানুষ এদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে এ নির্মম হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে এটাই প্রমান করছে।

নওমুসলিম মো. ওমর ফারুক হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছেন সাধারন মানুষ। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুনীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাস্থল রোয়াংছড়ি থানা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ও পাহাড়ের দুর্গম এলাকার তুলাঝিরি পাড়ায় অবস্থিত। গত ১৮ জুন শুক্রবার রাতে নওমুসলিম ওমর ফারুক মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

এ সময় ৪/৫ জন অস্ত্রধারী পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাকে বাড়ি থেকে বের হতে বলে। তাদের ডাকে বের না হলে তারা ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক টেনে বের করে। পরে ঘরের পাশেই তাকে গুলি করে হত্যা করে। রোয়াংছড়ি থানার ওসি তৌহিদ কবির বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি হত্যাকারীদের ধরতে। স্থানীয়রা জানান, নিহত ওমর ফারুক সহজ-সরল ও সৎ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আগে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করতেন। পরে তিনি পরিবারসহ ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর থেকে তিনি মসজিদে ইমামতি করতেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে দিলেও বাকিরা লেখাপড়া করে। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বাঙালি ও উপজাতীয় মুসলিম সংগঠনগুলো।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙালি নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ওমর ফারুককে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সন্ত্রাসীরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। মুসলিম হওয়াটাই ছিলো তার (ফারুক) মূল অপরাধ। তিনি জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সাধারণ জনগণকে গুম ও হত্যার পাশাপাশি এখন ইমামদের হত্যা করা শুরু করেছে আর এভাবে চললে পার্বত্য এলাকায় অশান্তি বেড়ে যাবে।
এ ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় অজ্ঞাতপরিচয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন