গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় কাজী মন্টু কলেজের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের কোটালীপাপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা কামরুল হাসান এবং দৈনিক জনতার উপজেলা প্রতিনিধি বিষ্ণুচন্দ্র ওঝা। ষড়যন্ত্রের পিছনে অধ্যক্ষের হাত রয়েছে দাবী সাংবাদিকদের।
সাংবাদিক কামরুল হাসান ও বিষ্ণুচনদ্র জানান কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট কাজী মন্টু কলেজে এ্যাসাইনমেন্ট জমা বাবদ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ৮’শ থেকে ১ হাজার করে টাকা নেওয়া হচ্ছে, কয়েকজন অভিভাবকের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সাংবাদিক আমরা কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকারের কাছে বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাই। তিনি আমাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পরে বলেন আপনারা যা পারেন সেই নিউজ করেন এতে আমার কিছু যায় আসেনা। হঠাৎ করে ২/৩ ঘন্টা পরে তিনি আবার ফোন করে বলেন আপনারা রোববার এগারটার দিকে একটু কলেজে আসেন এবিষয়ে সামনা-সামনি কথা বলা যাবে।
সাংবাদিকরা বলেন, এ ঘটনায় রোববার সকালে অধ্যক্ষ আবারও ফোন করে আমাদের কলেজে ডেকে নিয়ে যায়। আমরা কলেজে পৌঁছে দেখি কলেজে কয়েকজন শিক্ষক বসে আছেন। অধ্যক্ষ সাহেব এখনও আসেন নাই। আমরা উঠে বেরিয়ে চাইলে শিক্ষকগণ চা খাওয়ানোর কথা বলে আমাদের শার্ট ধরে টেনে বসানোর চেষ্টা করেন। আমরা বিষয়টা অন্য কিছু হবে বুঝতে পেরে বের হওযার চেষ্টা করি। এমতাবস্থায় গেটের কাছে পৌঁছালে দেখি কয়েকজন লোক লাঠি সোটা ও দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে কলেজ গেটে দাড়িয়ে আছে। তারা আমাদের গতি রোধ করে বলে বুকের পাটায় কত সাহস যে কাজী মন্টু কলেজের নিউজ করতে আসছিস । হাত পা ভেঙ্গে সাংবাদিকতা শিখিয়ে দিব আজ, বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং মার পিঠ করতে থাকে। বেধড়ক মারপিটের কারণে সাংবাদিক কামরুল হাসানের ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে যায় এবং বিষ্ণুচন্দ্র গুরুতর আহত হয়। আহত সাংবাদিক দ্বয়কে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাংবাদিকদের দাবী অধ্যক্ষ তাদের কৌশলে ডেকে নিয়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদেও উপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে কাজী মন্টু কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকারের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সাথে তাদের কথা হয়েছিল কিন্ত শরীর অসুস্থ্য থাকার কারণে আমি কলেজে হাজির হতে পারিনি। সন্ত্রাসী হামলা যারা চালিয়েছে তারা আমার লোক নয়। আমি শুনেছি মাহাবুব সুলতান ও মিলন হাওলাদার তারাও কোন পত্রিকার সাংবাদিক। তবে যারা সাংবাদিকদের সাথে এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের প্রতি প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। এব্যাপারে গোপালগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদেও গ্রেফতার দাবী করেছেন।
সর্বশেষ খবর জানা পর্যন্ত সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন