খুলনার কয়রা উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ কাজে শেষ মূহূর্তে এসে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। কাজের অগ্রগতি অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়ায় এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন তারা। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত অর্থবছরে করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকল্প এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কাজের তেমন অগ্রগতি না হলেও চলতি বছরে প্রকল্পের স্থাপনার কাজ শেষ করা হয়েছে। এ অবস্থায় বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার আবেদন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। যে কারণে শেষ মূহূর্তে কাজে ধীর গতি দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভূমি সেবা ও দাফতরিক কাজে গতিশীলতা আনতে ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় সারাদেশে ১৩৯টি উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে কয়রা উপজেলায় এ প্রকল্পের একটি কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফিদ ট্রেডার্স। চলতি বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ায় কথা থাকলেও বরাদ্দ সঙ্কটে প্রকল্পের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, তিন তলাবিশিষ্ট ভূমি অফিসের নির্মাণ কাজ এ মুহূর্তে ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে ভূমি সেবা দিতে উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করা হয়েছে দফতরটি। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ভূমি সেবা গতিশীল হবে। তবে শেষ মূহূর্তে এসে ভবনের নির্মাণ কাজ থমকে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজটি সম্পন্নের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।
কাজের ঠিকাদার লাবু শিকদার বলেন, কাজের শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পানে প্লাবিত হয়ে পড়ে প্রকল্প এলাকা। সে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আরেকটি দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মাঝেও বরাদ্দ ঘাটতি না থাকলে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব ছিল। তিনি তার কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে বরাদ্দ প্রাপ্তির দাবি জানিয়েছেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, কাজের অগ্রগতি রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছি। সেই সাথে যথা সময়ে কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
এ প্রসঙ্গে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর উপ সহকারী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সারাদেশে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হওয়ায় অর্থ ফেরত গেছে। এ কারণে সাময়িক বরাদ্দ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৬ মাস বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন