ব্রিটেনের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককের পদত্যাগ করা নিয়ে কোন নিয়ম ভাঙা হয়েছিল কি না, তার যথাযথ তদন্ত করা উচিত বলে মনে করেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। শনিবার রাতে তার সহকর্মীকে চুম্বন করে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ভাঙার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে হ্যানকক পদত্যাগ করেন।
রোববার সাদিক খান বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোকে বলেন, ‘সিনিয়র কর্মীদের নিয়োগ এবং সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রাইভেট ইমেইল ব্যবহারের বিষয়ে কোন বিধিগুলো ভাঙা হয়েছিল, সে সম্পর্কে যথাযথ তদন্ত করা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সানডে টাইমস জানিয়েছে যে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০২০ সালের মার্চ থেকে একটি ব্যক্তিগত ইমেল ঠিকানা ব্যবহার করে আসছিলেন। যার অর্থ করোনা নিয়ন্ত্রণে গৃহীত মূল সিদ্ধান্তগুলো এবং এবং সেগুলোর পেছনে যুক্তিগুলো রেকর্ড করা হয়নি। ফলে ভবিষ্যতের কোনও তদন্তের জন্যেএই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা কঠিন হতে পারে।
স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা অধিদফতর (ডিএইচএসসি) জোর দিয়ে বলেছে যে, সমস্ত মন্ত্রীরা বিভাগীয় ইমেল ঠিকানার মাধ্যমে তাদের সরকারী কাজ পরিচালনা করেন। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের বিবরণী থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য বিভাগের তৎকালীন দ্বিতীয় স্থায়ী সচিব যিনি পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন, সেই ডেভিড উইলিয়ামস বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, হ্যানকক অফিসের সাথে কাজ করেছেন ‘কেবল’ তার ব্যক্তিগত জিমেইল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।’ সাদিক খান হ্যানককের উত্তরসূরি সাজিদ জাভিদকে তার নতুন ভূমিকার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একজন বাস ড্রাইভারের সন্তান হিসাবে এটি তার জন্য একটি অনন্য অর্জন। সূত্র : ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন