অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে সুইজারল্যান্ড দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও নির্ধারিত সময়ে ফ্রান্সকে রুখে দেয় ৩-৩ গোলে। অতিরিক্ত সময়ে স্কোর একই থাকলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ, যেখানে দুই দলই লড়ছিল সমানে সমান। কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিলো কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টি মিস। তার কারণে দল হেরে যাওয়ায় হতাশা লুকাননি তিনি। যদিও তাকে দায়ী করছে না দলের কেউই। এমনকি সহমর্মিতা প্রকাশ করলেন ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড পেলেও।
পেলের পর দ্বিতীয় টিন-এজার হিসেবে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেছিলেন এমবাপে। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপে চার গোল করে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বের নজর কাড়েন, এমনকি পেলেও মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। কিন্তু জীবনের প্রথম ইউরোতে হতাশ করলেন এমবাপে। তার পঞ্চম শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান সুইশ গোলকিপার ইয়ান সমার।
এই পেনাল্টি মিসের পর এমবাপেকে উজ্জীবিত রাখতে টুইটারে লিখলেন পেলে। ফরাসি স্ট্রাইকারকে ‘তার মাথা উঁচু রাখতে’ বললেন। ৮০ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি লিখেছেন, ‘তোমার মাথা উঁচু রাখো, কিলিয়ান! আগামীকাল নতুন যাত্রার প্রথম দিন।’
২২ বছর বয়সী এমবাপে হারে পর পর ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। পেনাল্টি মিস করে ফ্রান্সকে ‘ব্যর্থ’ করেছেন বলে স্বীকার করেন তিনি। ইউরো থেকে বিদায়ের যন্ত্রণা ‘বিশাল’ বলে অভিমত দেন।
তার কোচ দিদিয়ের দেশম স্বীকার করেছেন যে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের পর ভেঙে পড়েছেন এমবাপে। কিন্তু কেউ তার ওপর বিরক্ত নয়। ৫২ বছর বয়সী কোচ বললেন, ‘কেউ তার প্রতি বিরক্ত নয়। যখন দায়িত্ব নেবেন, তখন এমনটা হতে পারে।’
অধিনায়ক হুগো লরিস বললেন, এই হারের জন্য কেউ কারও দিকে আঙুল তুলছেন না। ফ্রান্সের বিদায়ে সবাই দায়ী মনে করেন এই গোলকিপার, ‘আমরা একসঙ্গে জিতি, একসঙ্গে হারি। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই দায়ী। কেউ কারও দিকে আঙুল তুলছে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন