সাতক্ষীরায় খন্ডিত নারীর দুই পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাথা ও দুই হাতের সন্ধান পেতে কাজ চলছে। গতকাল দুপুরে ও বিকেলে সদর উপজেলার হাড়দ্দহা মাঝের পাড়া এলাকায় ইছামতি নদী থেকে পা দুটি উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা বোরকা, চাপাতি রাখার খাপ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন আলামত। এর মধ্যে বাম পা কুকুরে নদী থেকে তুলে আনে ওপরে।
নৃশংসভাবে হত্যার শিকার মোসলেমা খাতুন (৩৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ঢালীপাড়া গ্রামের জমিরউদ্দিন সরদারের মেয়ে। স্বামী ও ভগ্নিপতি মিলে এই নারীকে এমন নৃশংসভাবে খুন করে সীমান্ত নদী ইছামতিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহতের আপন ফুফাতো ভাই কলেজ ছাত্র আবু ছালেক জানান, তার বোন মোসলেমার ৬/৭ বছর আগে সদর উপজেলার ভোমরার ল²ীদাঁড়ি গ্রামে মফিজুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। সেখানে মোস্তাকিম নামের একটি ছেলে সন্তান হওয়ার পর ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর বছর দুই আগে একই ইউনিয়নের হাড়দ্দহা উত্তর পাড়ায় বাবুর আলী বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে মোসলেমার বিয়ে হয়। রফিকুলের আগের স্ত্রী, দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আবু ছালেক বলেন, বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিলো না। প্রায়ই ঝগড়া চলতো। নির্যাতনও করা হতো তার বোনের ওপর। এক পর্যায়ে স্ত্রীর নামে অল্প জমি লিখে দিয়ে আলাদা জায়গায় বাড়ি করে দেন ফল ব্যবসায়ী স্বামী রফিকুল। সেখানে মাঝে মাঝে যাওয়া-আসা করতেন। এরই মধ্যে গত ৬/৭ মাস আগে মোসলেমা তার স্বামী রফিকুলকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়ি আলিপুরে চলে আসে। রফিকুলের নামে নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা ও জিডি করে মোসলেমা। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলওয়ার হুসেন জানান, লাশ শানাক্ত হয়েছে। লাশ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেফতার ও খন্ডিত দেহ উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন