শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফারসি পাণ্ডুলিপি সংক্রান্ত তথ্য আহ্বান করেছে ‘আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশ’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২১, ৯:২১ পিএম

‘আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশ’ দেশ ও জাতির সমৃদ্ধ অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং অতীত ও বর্তমানের মাঝে সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রাচীন গ্রন্থাগারসমূহ বা প্রবীণ গুণিব্যক্তিদের বাড়িঘরে বিচ্ছিন্নভাবে সংরক্ষিত কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এমন ফারসি ভাষায় লিখিত পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশ এর সভাপতি ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী এক বার্তায় এই তথ্য জানান।

লিখিত ওই বার্তায় তিনি জানান, ‘আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশ’ এর পক্ষ হতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ গ্রহণ করুন। অতীতে বাংলাদেশসহ পুরো ভারতবর্ষে দীর্ঘ ৬০০ বছর সরকারী অফিস আদালত ও সাহিত্য সংস্কৃতির ভাষা ছিল মিষ্টি মধুর ভাষা ফারসি। আমাদের পূর্বপুরুষরাও তখন ফারসি ভাষার সাথে পরিচিত ছিলেন। তারা অনায়াসে শেখ সাদী, হাফেয শিরাজী, মওলানা রূমী ও উমর খৈয়ামের বয়েত পড়তেন ও বলতেন। তারা ফারসি ভাষায় বহু কিতাব লিখে গেছেন, যা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির স্মারক। এখনও মানব জাতির জন্য প্রেম ও আধ্যাত্মিকতার বাহন এই ফারসি ভাষা আমাদের দেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিজস্ব উপস্থিতি বজায় রেখেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের উপর লেখাপড়া অনার্স থেকে মাস্টার্স ও পিএইচ. ডি পর্যন্ত এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা শিক্ষাকোর্স পর্যায়ে চালু আছে। সারা দেশে হাজারো ছাত্রছাত্রী ফারসি ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করছে এবং তাদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি আলিয়া ও কওমী নেসাবের মাদ্রাসাসমূহে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন সীমিত আকরে হলেও অব্যাহত রয়েছে। অনুরূপভাবে ধর্মীয় মহল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ফোরাম এবং জ্ঞানীগুণিদের মহলেও ফারসির প্রতি ভালোবাসা ও আসক্তি বলবৎ রয়েছে।

এ লক্ষ্যে এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী প্রিয় ভাইবোনদের কাছে জাতির গৌরবদীপ্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের নিমিত্তে প্রাথমিক পর্যায়ে এ সম্পর্কিত তথ্য ই-মেইল বা ফোনের মাধ্যমে আমাদেরকে অবহিত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

১. পাণ্ডুলিপির নাম, লেখকের নাম এবং সম্ভব হলে রচনার তারিখ। ২. পাণ্ডুলিপির শুরু ও শেষের পাতা এবং মাঝখানের দু একটি পাতার ফটোকপি বা স্কীন টাচ।
৩. প্রেরকের বিস্তারিত ঠিকানা (মোবাইল নং, ই-মেইল নং)। অনুগ্রহ করে যে কোনো ধরনের তথ্যের জন্য নিম্ন ঠিকানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

আনজুমানে ফারসি বাংলাদেশ, রুম নং ২০৯, ২য় তলা, আধুনিক ভাষা ইনিস্টিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফোন: ০১৩১৯৩৪৯২১৩, ই-মেইল: anjumanefarsibd@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন