নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ঘরে ঘরে জ্বর দেখা দিয়েছে সেইসাথে বেড়েছে করোনা আতঙ্ক। এ উপজেলায় ৫টি ইউনিয়ন, কামারপুকুর, খাতামধুপুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বোতলাগাড়ী, বাঙ্গালীপুর ও শহরের পৌর এলাকায় প্রায় বাড়িতে জ্বর দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, সিজনাল জ্বর হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রচন্ড গরম, শরীরে ঘাম শুকিয়ে যাওয়া এবং গরমের কারণে ঠাণ্ডা পানীয় গ্রহণ করায় এমন হয়ে থাকে। নাপা জাতীয় ওষুধ সেবনেই এই জ্বর নেমে যাবে।
মাঝাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, তার পরিবারের প্রথমে দুই জন ও পরে তিন জন সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন আজ প্রায় ৪ দিন হয়ে গেল কোন উন্নতি হয়নি। তার পাশের বাড়িরও একই অবস্থা। খবর নিয়ে জানা গেছে একই অবস্থা বিরাজ করছে গোটা উপজেলায়। শহরের হাতীখানা বানিয়াপাড়া এলাকায় শ্রমজীবী দেলোয়ার জানান, তার পরিবারে দুই শিশুসহ প্রায় ছয়জন জ্বরে ভুগছে। গত দুইদিন যাবত কোন চিকিৎসা নেননি। তার ধারণা দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে এ জ্বর হচ্ছে।
বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বিনয় কুমার রাজবংশি বলেন, বাড়ির একজন শিশুসহ তিন জনের জ্বর হয়েছে। করোনার ভয়ে ডাক্তার ও হাসপাতাল যেতে পারছি না। তবে পরিচিত ডাক্তারের কাছে মোবাইলে পরামর্শ নিচ্ছি। শহরের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনামুল হক জানান, সিজনাল জ্বর হচ্ছে এতে ভয়ের কিছু নাই। নিয়মিত ঔষধ সেবন করলেই সুস্থ হবে। তবে আগের তুলনায় কিছুটা হলেও রোগীর চাপ বেড়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু মোহাম্মদ আলেমুর বাশার বলেন, সিজনাল জ্বর গ্রামগঞ্জে হচ্ছে এবং দু-এক দিনেই সুস্থও হচ্ছে। তবে করোনাকালীন এই সময়ে জ্বর হলে করোনার জন্য নমুনা দেয়া ভালো। কারণ কার পজেটিভ হবে আর কার হবে না সেটি আমরা পরীক্ষা না করে বলতে পারব না। আমি মনে করি মাস্ক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন