মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রফিকুল আমিনের জুম মিটিং তদন্তে কারা অধিদফতর

তদন্ত করবে বিএসএমএমইউ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

কারাবন্দী ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনের জুম মিটিং ইস্যুতে তদন্তে নেমেছে কারা অধিদফতর। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। গত দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন রফিকুল আমিন। হাসপাতালে থাকার কারণ হিসেবে ‘ডায়াবেটিসের সমস্যা’ উল্লেখ করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে জেলে বসেও নতুন ব্যবসায় খোলার অভিযোগে তৎপর হয় কারা কতৃপক্ষ। হাসপাতালের বন্দি রোগীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং শাহবাগ থানা পুলিশের ওপর। জুম প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে তার নেতৃত্বে বৈঠক হওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এক ঘণ্টার বেশি সময়ের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রফিকুল আমীনের নাম লেখা ইংরেজিতে ‘আর’।

বিএসএমএমইউর ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রক্টর হাবিবুর রহমানকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রফিকুল আমীনের কাছে মোবাইল থাকার কথা নয়। এরপরও এর সত্যতা যাচাই করব। এ জন্য আমরা আগামী শনিবার একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করব। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। রফিকুলের বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। রফিকুল আমিন যদি এটা করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কারাবিধি লঙ্ঘনের ব্যবস্থা নেবো। আর কোনো কারারক্ষীর যদি দায়িত্বে অবহেলা থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন সাংবাদিকদের বলেন, তার (রফিকুল আমিন) মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বলতে পারব, তিনি কখন কথা বলেছেন, আদৌ বলেছেন কি না। এ মুহূর্তে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি করব। কমিটির তদন্তে সব বিষয় উঠে আসবে।

রফিকুল আমিন শুধুমাত্র কাগজে-কলমে কিংবা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ‘অসুস্থ’। হাসপাতালে থেকে দিব্যি ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন তিনি। মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুম অ্যাপে নিয়মিত মিটিংও করছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে রফিকুল আমিন ডেসটিনির মতোই নতুন আরেকটি এমএলএম ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে সেই ব্যবসা শুরুও করেছেন তিনি। ব্যবসার জন্য শিগগিরই এক হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলেছেন। তিনি সেখানে ‘মিস্টার এ’ নামে রেজিস্ট্রি করেছেন। তার প্রোফাইল ছবিতে ইংরেজি বর্ণের বড় হাতের ‘জ (আর)’ লেখা। ব্যবসার বিষয়ে আলাপকালে তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে কথা বলতে শোনা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে বলেন, বিয়য়টি আমরা জানতে পেরেছি। সত্যিই যদি কারাগারে বসে জুম বৈঠক করা হয়, এটা আরেকটা অপরাধ। এ কাজ করতে রফিকুল আমীনকে যারা সহযোগিতা করেছেন, তারাও অন্যায় করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন