স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মতিঝিলের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে গতকাল শনিবার মাহামুদুর রহমান মজিদ (৪০) নামে এক আদম ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহামুদুরের সঙ্গে থাকা তার বান্ধবী তানজিলা আক্তার তনুকে আটক করেছে পুলিশ। এটি পরিকল্পিত হত্যা, নাকি অসুস্থজনিত কারণে মৃত্যু তা নিশ্চিত করা যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওমর ফারুক জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফকিরাপুলের আবাসিক হোটেল এরিনার ৪র্থ তলার একটি কক্ষ থেকে মজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সকালে মজিদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বান্ধবী হোটেলের লোকজনকে জানায়। হোটেলের ম্যানেজার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার আগেই তার মৃত্যু হয়। হোটেলের লোকজন জানান, মৃত্যুর আগে মজিদের মুখ থেকে লালা পড়ছিল। তবে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ওসি ওমর ফারুক আরো জানান, মজিদ সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। একাধিকবার স্ট্রোক করার কারণে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। হৃদরোগের কারণে মজিদ ৮/৯ বছর আগে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে পল্টনের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হন। ওই ট্র্যাভেল এজেন্সির হয়ে তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মজিদ তার বান্ধবী তানজিলা আক্তার তনুুকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন। মজিদের স্ত্রী দিলরুবা জানান, শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির ভাড়া বাসায় তারা সপরিবারে বসবাস করতেন। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে তার স্বামী বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। মজিদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চরশ্রীরামপুরে। বাবার নাম মজিবুর রহমান।
ওসি ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় কেউ মামলা করেনি। তবে জিডির ভিত্তিতে মজিদের সঙ্গে থাকা বান্ধবীকে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হবে। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানিয়েছেন, মজিদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে তাদের পরিচয় হয়। সম্পর্ক হয় আট-দশ বছর আগে। তাদের বিয়ে করার কথা ছিল। হোটেলের ব্যবস্থাপককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন