বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিয়ে করে পালাচ্ছেন আইএসের বন্দি নারীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২১, ৩:০৭ পিএম

সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এমন শত শত নারী সিরিয়ার আল-হল বন্দিশিবিরে আটক রয়েছেন। এদের অনেকেই অনলাইনে যোগাযোগ হওয়া বিদেশি পুরুষদের বিয়ে করছেন। নতুন স্বামীদের পাঠানো অর্থের বিনিময়ে বন্দি শিবির থেকে ইতোমধ্যে পালিয়েছেন কয়েকশ নারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক বিশেষ প্রতিবেদনে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
হল শিবিরের ভেতরে ও বাইরে থাকা ৫০ জন নারী, এক কুর্দি কর্মকর্তা ও আইএসের সাবেক এক সদস্য জানিয়েছেন, মুক্তির জন্য বন্দিশিবিরের বাসিন্দারা চক্রটির কাছে সব মিলিয়ে পাঁচ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন।
২০১৯ সালে তথাকথিত খেলাফতের পতনের সময় সিরিয়ায় আইএসের শেষ ঘাঁটিতে প্রায় ৬০ হাজার নারী ও শিশু ছিল। এখন এসব নারী ও শিশু যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের বন্দিশিবিরে রয়েছে। তাদের এই বন্দিদশায় ক্ষুব্ধ বিশ্বজুড়ে আইএস সমর্থকরা। অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে বন্দি নারীদের বিয়ে করে তথাকথিত জিহাদিদের শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপায় বলে মনে করছেন। এই সম্ভাব্য স্বামীদের অধিকাংশই মুসলিম দেশের হলেও তারা ইউরোপে বাস করেন এবং তাদের বেশ ভালো সম্পদ রয়েছে।
বন্দিশিবিরের নারীরা এই বিয়ের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ আয় নিশ্চিত করতে চাইছে এবং জীবনকে কিছু স্বাচ্ছ্যন্দময় করতে চায়। বিদেশি স্বামীদের পাঠানো অর্থ এসব নারী খাদ্য, ওষুধ, ফোনের বিল ও গৃহকর্মীদের জন্য ব্যয় করছে।
ফেসবুকের মাধ্যমে বন্দিশিবিরের নারীদের বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। এর জন্য আইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল ফেসবুক পেজগুলো ব্যবহার করা হয়। স্ত্রী প্রত্যাশী এমনই এক ব্যক্তি আরবিতে লিখেছেন, ‘আমার একটি অনুরোধ আছে... ধর্ম মেনে চলতে চান এমন একজন স্ত্রী কি আমি শিবির থেকে খুঁজে পেতে পারি? আমি তাকে যে কোনো মূল্যে শিবির থেকে বের করে আনতে পারব।’
এভাবে বিয়ের পর হল বন্দিশিবির থেকে কতজন নারী পালিয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। তবে একটি চিত্রে শিবিরের মানুষ কমার বিষয়টি বোঝা গেছে। দুই বছর আগে বন্দিশিবিরের তাবুগুলোতে জায়গা ও অন্যান্য জিনিসপত্রের জন্য মারামারি পর্যন্ত হয়েছে। এখন অনেক তাবু ফাঁকা। সেই সুবাদে যেসব তাবুতে ভীড় ছিল, সেখান থেকে অনেকে ফাঁকা তাবুগুলোতে গিয়ে উঠছেন।
পালিয়ে যাওয়া এসব নারী কোথায় তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে এক নারী দ্য গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, তিনি এখন তার নতুন স্বামীর সঙ্গে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে বাস করছেন। সূত্র : দি গার্ডিয়ান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Md Sayd ৩ জুলাই, ২০২১, ৪:৫২ পিএম says : 2
আইএস মুসলিম নয় ইয়াহুদি, এরা শয়তান
Total Reply(0)
রায়হান ইসলাম ৩ জুলাই, ২০২১, ৪:৫৭ পিএম says : 3
এগুলো থেকে প্রমাণ হয় যে আইএস কোন ইসলামী সংগঠন না
Total Reply(0)
গোলাম মোস্তফা ৩ জুলাই, ২০২১, ৫:১৫ পিএম says : 3
এদের আসল চেহারা আস্তে আস্তে উন্মোচিত হচ্ছে
Total Reply(0)
তাজউদ্দীন আহমদ ৩ জুলাই, ২০২১, ৫:১৬ পিএম says : 0
আমার মতে মেয়েরা ঠিক কাজ করছে।
Total Reply(0)
কিরন ৩ জুলাই, ২০২১, ৫:১৬ পিএম says : 0
কে চায় সারা জীবন বন্ধি থাকতে?
Total Reply(0)
Dadhack ৩ জুলাই, ২০২১, ৫:৩৮ পিএম says : 0
সন্ত্রাসী আমেরিকা ইরাক যদি যখন না করত এবং ইরাককে ধ্বংস না করত বাশার আল-আসাদ সুন্নি মুসলিম দেরকে নির্বিচারে হত্যা করত তাহলে আইএস এর জন্ম হতো না ঠিক তদ্রুপ আফগানিস্থানে তালেবানদের উপর 43 টা সন্ত্রাসী দেশ আক্রমণ না করলে সে দেশে আল-কায়েদা বলে কোন গ্রুপ তৈরি হতো না নাইন ইলেভেনে পড়ে একজন সিআইডি অফিসার অবসরপ্রাপ্ত তার একটা আর্টিকেল ইন্টারনেটে ছাপানো হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল যে আমেরিকায় আল-কায়েদা তৈরি করেছে.....43 টা সন্ত্রাসী দেশ আক্রমণ না করলে সে দেশে আল-কায়েদা বলে কোন গ্রুপ তৈরি হতো না নাইন ইলেভেনে পড়ে একজন সিআইডি অফিসার অবসরপ্রাপ্ত তার একটা আর্টিকেল ইন্টারনেটে ছাপানো হয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল যে আমেরিকায় আল-কায়েদা তৈরি করেছে
Total Reply(0)
Noman ৩ জুলাই, ২০২১, ৫:৪১ পিএম says : 3
আইএস মুসলিম নয় ইয়াহুদি.
Total Reply(0)
Md Azezor rhman ৩ জুলাই, ২০২১, ৫:৫১ পিএম says : 0
যে যাই বলোক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া অনেক কঠিন
Total Reply(0)
Taka ৩ আগস্ট, ২০২১, ১:৫৩ পিএম says : 0
এগুলি আই এসের পরিকল্পনা মতাবেক হচ্ছে।আই এসের বিধবা রা বিদেশি মুসলিম পুরুষদের বিয়ে করে বন্দি শিবির থেকে মুক্তি নিচ্ছে।এই বিদেশি মুসলিম পুরুষ গুলি আই এসের সমর্থক।এইখানে ব্রিটিশ পত্রিকা মিথ্যা কথা বলতাসে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন