করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলা কঠোর লকডাউনের করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) চতুর্থ দিনে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রধান সড়ক অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ছিলো যাত্রী ও যানবাহন শূন্য।
এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি সদস্যরা। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
রোববার (০৪ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ৮টি ফেরি চলাচল করছে। তবে কঠোর লকডাউনের কারণে ঘাট যাত্রীশূন্য হয়ে পড়েছে।যানবাহনের পরিমাণ খুবই কম থাকায় নৌরুটে ফেরির সংখ্যাও কমানো হয়েছে। বহরে থাকা ১৬টি ফেরির মধ্যে ৮টি ফেরি সচল রাখা হলেও গাড়ি না থাকায় ঘাটে অলস বসে আছে ফেরিগুলো।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, যাত্রী ও যানবাহন না থাকায় ১৬টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ৮টি ফেরি। যাত্রীর চাপ নেই। পুরো ঘাট খালি। কিছু পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি পারাপার হয়েছে। যাত্রী এবং যানবাহনের চাহিদা বাড়লে প্রয়োজন অনুযায়ী ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।
লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে আবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সে সাথে তিনি আর জানান ঘাটে শুধু মাত্র অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক,লাশের সাথের গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। তা ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকা পুরো ফাঁকা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন