সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপগুলো বন্ধ করতে ভারতীয় জনগণের জেগে ওঠা উচিত। যেসব কর্মকান্ড শুধু ভারত নয়, অন্যদের জন্য ক্ষতিকারক তা বন্ধে এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যৌথভাবে এর নিন্দা জানানো উচিত। সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান ও আইন বিষয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের প্রাক্তন সামরিক কূটনীতিক চেং সিজহং এক বিবৃতিতে এমনই মতামত প্রকাশ করেছেন।-এপিপি
এই চীনা পণ্ডিত পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. মুয়ীদ ইউসুফের একটি বিবৃতি উল্লেখ করেছেন, যাতে তিনি বলেছিলেন, গত মাসে লাহোরের জোহর শহরে বিস্ফোরণের তদন্তকালে প্রাপ্ত প্রমাণ “ভারতীয় মদদে সন্ত্রাসবাদের” দিকে ইঙ্গিত করে। ড. মুয়ীদ ইউসুফ বলেন, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী একজন ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)এর সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে, যে হামলায় ৩ জন মারা গেছেন এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।
চেং সিজহং বলেন, এটি "প্রক্সি যুদ্ধ" এবং তাঁর মতানুসারে, "প্রক্সি যুদ্ধ" এর অর্থ হল যে, একটি দেশ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বা চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদীদেরকে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে ব্যবহার করে। ফলে সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় অন্য দেশের উন্নয়ন এবং অন্য দেশের শক্তিকে দুর্বল করে। তিনি আরও বলেন, বহু বছর ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে "প্রক্সি যুদ্ধ" একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণও এই প্রক্সিযুদ্ধ।
তিনি বলেন, ভারতের মদদে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হওয়ায় ভারতীয় সমাজ দীর্ঘকাল ধরে তারা অশান্তির মধ্যে রয়েছে। সুতরাং, সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা অন্যদেশ এবং তাদের উভয়েরই জন্য ক্ষতিকারক। ভারতীয় জনগণের জেগে উঠে তা বন্ধ করা উচিত। তিনি অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যৌথভাবে এটির নিন্দাও করা উচিত বলে মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন