মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তান-চীন ঘনিষ্ঠতায় যুদ্ধে যাওয়া বিপজ্জনক মনে করছে ভারতীয়রা

বিদেশি আগ্রাসনে আক্রান্ত হলে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে বেইজিং

প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের উরি হামলার জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে তৃতীয় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। যেকেনো পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের অকৃত্রিম বন্ধু বলে পরিচিত বেইজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে নয়াদিল্লি ঘোর সন্দিহান। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলে চীনের ভূমিকা কী হবে এই নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। সম্প্রতি পাকিস্তানে চীনের বিশাল অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু হয়েছে। ৪৬০০ কোটি ডলার ব্যয়ে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরকে (সিপিইসি) ইসলামাবাদে বেইজিংয়ের ব্যাপক বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তানে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের ক্ষেত্রেও সহায়তা দিয়ে আসছে চীন। বলা যায়, চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ এবং তা আজও একইভাবে অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধিষ্ণু উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে ইসলামাবাদের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে মিত-দেশ চীন। গত শুক্রবার বেইজিং জানিয়েছে, পাকিস্তান কোন ধরনের বিদেশি আক্রমণ বা আগ্রাসনের সম্মুখীন হলে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে চীন এবং দেশটিকে সহায়তাও করবে। সেই সাথে কাশ্মীর বিরোধ ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে দেশটি। গত শুক্রবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। লাহোরে অবস্থানরত চীনের কনসাল জেনারেল ইয়ু বোরেনের উদ্বৃতি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পাকিস্তান যদি কোন বিদেশি আগ্রাসনের শিকার হয় তাহলে চীন পাকিস্তানকে সহায়তা করবে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে লাহোরে এক বৈঠকে পাকিস্তানকে এ বার্তা পৌঁছে দেন বেইজিংয়ের ওই শীর্ষ কূটনৈতিক। তিনি বলেছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আছি এবং থাকবো। জম্মু-কাশ্মীরে নিরস্ত্র কাশ্মীরিদের ওপর নৃশংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কাশ্মীরিদের প্রত্যাশা অনুযায়ীই কাশ্মীর বিবাদের নিষ্পত্তি হতে হবে। পাকিস্তানি পত্রিকা ডনের খবরে বলা হয়, সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসলামাবাদের প্রতি সমর্থন সম্প্রসারণ করেছে চীন।
চীন-পাকিস্তান এই ঘনিতার কারণে ভারতের ৪৮ শতাংশ জনগণ মনে করে ভারতের জন্য যুদ্ধে জড়ানো বিপজ্জনক। ২১ শতাংশ ভারতীয়র মতে, এটা তেমন বড় সমস্যা নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে চীনের বৈরিতার প্রধান কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নয়াদিল্লির ঘনিতা বৃদ্ধি। এছাড়া চীনের প্রতিবেশী অন্য এশীয় রাষ্ট্রগুলোয় ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, চীনের অর্থনৈতিক করিডোরের ক্ষতির আশংকায় পাকিস্তানের পক্ষে এবার শক্ত ভূমিকা নিতে পারে চীনা সরকার। অন্যদিকে, বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করে পাকিস্তানের সঙ্গে যতোই সম্পর্ক থাকুক, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে চীন হস্তক্ষেপ করবে না। তার বড় প্রমাণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। সেসময় যুক্তরাষ্ট্র চীনকে যুদ্ধে হস্তক্ষেপে ফুঁসলালেও তাতে নিজেকে জড়ায়নি বেইজিং। মোটাদাগে চীনের পররাষ্ট্রনীতি এটাই যে অন্যের কারণে নিজেকে যুদ্ধে না জড়ানো। এশিয়ায় চীনই একমাত্র দেশ যেটি জনসংখ্যা, অর্থনীতি ও সামরিক দিক দিয়ে ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ডন, ইন্ডিয়া টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Abu taleb Mohammad Sahid ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১০:৫৯ এএম says : 2
ইন্ডিয়ার জন্য লজ্জা!
Total Reply(0)
মুহাম্মাদ সাদ্দাম হোছাইন ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১১:০১ এএম says : 0
হুশ আইসে
Total Reply(0)
Islam ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৪:৪৮ পিএম says : 0
India never fight with Pakistan. Coz they knows well what will be happened!!!
Total Reply(0)
Enamul Haque ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৫:২৩ পিএম says : 0
No war want peace for all
Total Reply(0)
মৌ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:৩৮ পিএম says : 2
যুদ্ধ হলে পাকিস্তান যেন মনে না করে যে পাকিস্তানের কিছুই ক্ষতি হবে না, ভারতও যেন সেরকম মনে না করে এবং চীনও যেন চিন্তা করে যে চীন তেজী সিংহ যেমন ভারত উঠতি বয়ষী বাঘ তেমন৷ কাজেই ক্ষতি সবার৷ তাই বুদ্ধি থাকতে হিংসা দিয়ে সমাধান মূর্খতা৷ সুতরাং আরো গভীর ভাবে ভেবে কাজ করা তিনজনেরই উত্তম৷
Total Reply(0)
muji ২৩ জুলাই, ২০১৭, ৪:০৪ পিএম says : 0
সীমান্তে বাংলাদেশি মারা আর চীনের সাথে যুদ্ধ নয়
Total Reply(0)
Md.Iqbal hossen ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৩৩ পিএম says : 0
Judd NY shanthi chai
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন