বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছাতকে নৌ-পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৌর কাউন্সিলরকে প্রধান আসামী করে মামলা: গ্রেফতার ১

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ৯:৩৯ পিএম

সুনামগঞ্জের ছাতকে বালু খেকো কর্তৃক নৌ-পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ছাতক পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে এ মামলা (নং-৩, তাং-০৬,০৭,২০২১) দায়ের করেন। দায়েরি মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছেন আরও ৪০-৫০জন।

মঙ্গলবার সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লম্বাকান্দি গ্রামের রজু মিয়ার পুত্র ও মামলার ৬নম্বর আসামী শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ওইদিন বিকেলে গ্রেফতারকৃতকে ছাতক থানায় হস্তান্তর করেছেন।

এদিকে, হামলায় গুরুতর আহত ছাতক নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মঞ্জুর আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার ছাতক হাসপাতাল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার বাদী হাবিবুর রহমান এবং নৌ-পুলিশের কনস্টেবল সৈকত কুমার ছাতক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

নৌ-পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর আসামীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের কঠোর তৎপরতা আঁচ করতে পেরে আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের চেলা নদীর পাশে নিয়ামতপুর এলাকার বন বিভাগের জায়গা থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে আসছিল এলাকার একটি বালু খেকো চক্র। এ বিষয়ে নৌ-পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে ছাতক বন বিভাগ। এসব অভিযোগ ছাড়াও প্রতিদিনের মতো গত ৪ জুলাই বিকেলে নৌকা যোগে টহল দিচ্ছিলেন নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মঞ্জুর আলমসহ ৬ পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে চেলা নদীর পাশে নিয়ামতপুর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পরে সিজারলিষ্ট তৈরি করে ফেরার পথে পুলিশের উপর হামলা চালায় বালু খেকোরা। এতে নৌ-পুলিশের ইনচার্জসহ নৌকায় থাকা ৬পুলিশ আহত হয়। হামলাকারীরা তাদের বেদম প্রহার করে মোবাইল, হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের সব কিছু কেড়ে নেয়। এসময় পুলিশের নৌকাটিও পানিতে তলিয়ে দেয়। পরে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে নদীতে পড়ে সাতার কেটে আশ্রয় নেয় একজন সেনা সদস্যের বাড়িতে। রাতে আহতদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক রকিবুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাহাদাত নামের মামলার ৬নম্বর এক আসামীকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের থানায় হস্তান্তর করেছেন। মামলার প্রধান আসামী কাউন্সিলর তাপসসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন