ভারতের আসাম রাজ্যের লখীপুরে ছিল সিলেটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই ভূমিকম্প হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, এই ভূমিকেম্পর উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম রাজ্যের লাখিপুরে। যা সিলেট থেকে ১৯৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ও ঢাকা থেকে ২৪২ কিলোমিটার দূরে। তবে সিলেটে মূলত অনুভূত হয়েছে মাঝারি ভূমিকম্প। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তরের (ইউএসজিএস) তথ্য বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের লাখীপুরের ৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার উত্তরে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।ভূমিকম্পে বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় কম্পন্ন অনুভূত হয়েছে। তবে এ ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য এখন অবধি পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে একের পর এক ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নীতিনির্ধারক মহল আগাম প্রস্তুতির কথা বলছেন ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর। একদিকে করোনার আগ্রাসীরূপ, অন্যদিকে ভূমিকম্পের অজানা আতংক। এই দুইয়ের কাছে মানুষের অর্জিত শক্তিমত্তার অহংকার কতো অসহায় চলমান বাস্তবতাই তার প্রমান। এহেন পরিস্থিতিতে সিলেটবাসী করোনা না ভূমিকম্প মোকাবেলায় লড়বে এখন !
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন